খাবার সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠান ফুডপান্ডার বিরুদ্ধে মামলা করবেন সুমাইয়া আজিজ নামে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী । চুরির ঘটনায় ফুডপান্ডার কাছে লিগ্যাল নোটিশ দিয়ে জবাব চেয়েছিলেন তিনি। জবাব না পাওয়ায় ফুডপান্ডার বিরুদ্ধে মামলা করবেন। ফৌজদারি অপরাধের জন্য মামলা ও হাইকোর্টে ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
বুধবার (১০ মে) সুপ্রিম কোর্টে সার্বিক বিষয়ে ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ জানান, গত ৯ এপ্রিল ফুডপান্ডার একজন রাইডার ফুড ডেলিভারি করার সময় আমার বাড়ি থেকে কিছু টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। তিনি অন্য কিছু নিয়েছেন কিনা তা-ও জানতে পারিনি। সঙ্গে সঙ্গে আমরা সেই রাইডারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলাম, তখন রাইডার আমাদের নম্বর ব্লক করে দেন। বিষয়টি তখনই ফুডপান্ডাকে জানিয়ে তাদের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলতে চাই। তারপর থেকে ফুডপান্ডা আজ পর্যন্ত কোনো যোগাযোগ করেনি। এরপর তাদের একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। গ্রাহক নিরাপত্তা বিষয়ক কিছু তথ্য চেয়ে। আজ পর্যন্ত তারা কোনো জবাব দেয়নি।
সুমাইয়া আজিজ বলেন, ১৫ এপ্রিল লিগ্যাল নোটিশের মাধ্যমে তাদেরকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিই। ১৬ এপ্রিল তারা চিঠি দিয়ে ১৪ দিনের সময় চাইল। উনারা মূলত কাস্টমারদের নিরাপত্তা নিয়ে ন্যূনতম চিন্তিত না। লিগ্যাল নোটিশে ৩টা শর্ত ছিল।
এক. যার বাড়ি থেকে রাইডার চুরি করে পালিয়েছে তাকে যেন অবশ্যই একটা অ্যাপোলজি লেটার দেওয়া হয়। এটা যেকোনো কোম্পানির দায়িত্ব। কিন্তু তারা সেটা করেননি। ফুডপান্ডা নিজেও অপরাধী হয়ে গেল এ কাজের মাধ্যমে।
দুই. ঈদের পর যেন একটা কাস্টমার কেয়ার খোলা হয় বা একটা নম্বর দেওয়া হয়। সেখানে মানুষ তাদের অভিযোগগুলো জানাতে পারে। কিন্তু এটাও তারা করেননি।
তিন. হয়রানির জন্য সিকিউরিটি হিসেবে ১০ লাখ টাকা পেনাল্টি চাওয়া হয়েছিল সেটারও কোনো জবাব দেয়নি।
ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ বলেন, তারা শুধু একজন আইনজীবীর মাধ্যমে জানিয়েছিলেন ১৪ দিন সময় দরকার। এ সময়ের পর তাদের আবার একটি রিমাইন্ডার লেটার দেওয়া হয়েছিল। ১৪ দিন সময় অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। তারা কোন জবাব দেননি। আমরা এখন ফুডপান্ডার বিরুদ্ধে মামলায় যাব। তাদের এমডি থেকে শুরু করে কেউ এই চুরির দায় এড়াতে পারেন না।
সূত্র; ঢাকা পোস্ট