জলাবদ্ধতা নিরসনে ফুটপাত এবং নালা দখলদারদের বিরুদ্ধে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন কক্সবাজার পৌর মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী।
গত দুই দিন ১১ ও ১২ জুলাই কক্সবাজারে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে, এতেই কক্সবাজার শহর যেন নদীতে পরিণত হয়েছে। ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে পর্যটন এলাকা কলাতলী এবং শহরের অন্যান্য এলাকা এবং তার সাথে পাহাড় ধ্বসে মৃত্যু ও হয়েছে ৪ জনের।
কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় কাটা থেকে শুরু করে নালা দখল করে নার্সারি এবং আরো বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা হয়েছে পেশকার পাড়া, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সামনে নার্সারি দিয়ে দখলে রেখেছে বড় একটি অংশ এবং শহরের আরো বিভিন্ন যায়গায় নালার জায়গা দখল করে স্থাপনা ও নির্মাণ করা হয়েছে।
শনিবার ওই সমস্ত দখলদারদের বিরুদ্ধে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন পৌর মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী এবং আগামীকাল ১৪ জুলাই রবিবার থেকে উচ্ছেদ অভিযানে নামবেন কক্সবাজার পৌরসভা।
তিনি বলেছেন, উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ,রোডস এন্ড হাইওয়ে এবং কক্সবাজার পৌরসভা বিগত দিনগুলোতে অপরিকল্পিতভাবে কাজ করে গিয়েছেন যার কারণে আজ কক্সবাজার শহরবাসী জলাবদ্ধতাসহ নানা কষ্টে ভুগছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি একটি মিটিং এর আয়োজন করবেন যেটির মাধ্যমে কক্সবাজার শহরকে কিভাবে এ সমস্ত সমস্যা থেকে উত্তরণ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করবেন এবং তাতে উপস্থিত থাকবেন ডিসি অফিসের একজন কর্মকর্তা-উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের একজন কর্মকর্তা-রোডস এন্ড হাইয়ের একজন প্রতিনিধি এবং কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন এলাকার সমাজ কমিটির সভাপতি সেক্রেটারি সহ প্রবীন মুরব্বিদের নিয়ে তিনি সম্মিলিত ভাবে কক্সবাজার শহরকে উত্তরণের একটি পথ বের করার চেষ্টা করবেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, কক্সবাজার শহরের বড়বাজার সংলগ্ন পেশকার পাড়া এলাকায় নালার জায়গা এবং বড়বাজারের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছে সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে তবে সেটি পৌরসভা এলাকার দ্বারা সম্ভব নয় তিনি ডিসি অফিস এবং পুলিশ সুপারের সহায়তাও চেয়েছেন।
শহরের সরকারি জায়গা দখল হয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, কক্সবাজার বদর মোকাম সংলগ্ন এবং পেশকার পাড়ার পাশে বাঁকখালী নদীর তীর এটি পরিবেশ অধিদপ্তরের সরকারি জায়গা কিন্তু কিছু অবৈধ দখলদার দিনের পর দিন এই বিরাট অংশ দখল করে নিচ্ছে, এতে ধ্বংস হচ্ছে প্যারাবন এবং বাধাগ্রস্থ হচ্ছে পৌরসভার নালা ব্যবস্থাপনা এতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভূমিকা কি সেই প্রশ্ন ও ছুড়েন তিনি।
যার কারনর ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন অবৈধ দখলদার এবং ফুটপাতে দখলদারদের বিরুদ্ধে।
এখন দেখার বিষয় হল কতটুকু কার্যকর হয় এই আল্টিমেটাম।
চলমান বর্ষাকালের আরো অনেকদিন বাকি, যদি আল্টিমেটাম ঠিকভাবে কাজ করে তবে আশা করা যাচ্ছে কক্সবাজার শহর জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে।
সেই সাথে অবৈধ দখলদারদের সতর্ক হওয়া এবং শহরের স্বার্থে অবৈধ দখল ছেড়ে দেয়া সমীচিন হবে বলে মনে করছেন তিনি।