ফিরোজার সামনের সড়কে চেকপোস্ট, কয়েকটি এলাকায় ব্লক রেইড
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজার সামনের সড়কে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে এই চেকপোস্ট বসানো হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ব্যারিকেড বসানো হয়েছে সড়কের দুই পাশেই। বেশকিছু পুলিশ সদস্যও সেখানে রয়েছেন।
হঠাৎ কেন এ তল্লাশিচৌকি, সে বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। তল্লাশিচৌকিতে থাকা পুলিশ সদস্যরাও কিছু বলতে রাজি হননি।
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ ঘিরে খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে বলে দাবি দলটির। রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন রয়েছে, নয়াপল্টনের সমাবেশে খালেদা জিয়া উপস্থিত হতে পারেন।
তবে বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, সমাবেশে খালেদা জিয়ার উপস্থিত থাকার কোনো সম্ভাবনা নেই। এ ধরনের দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত বা পরিকল্পনাও তারা নেননি। তাছাড়া খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। শর্তসাপেক্ষে জামিনে থাকলেও এখনো তিনি মুক্ত নন।
দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া বর্তমানে গুলশান-২-এর ৭৯ নম্বর রোডের ১ নম্বর বাড়ি ‘ফিরোজায়’ থাকছেন।
এদিকে, রাজধানীর বনানী, গুলশান, তেজগাঁও ও মতিঝিল বিভাগের একাধিক এলাকায় ব্লক রেইড শুরু করেছে পুলিশ। এ সময় অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। এরমধ্যে বনানীর কাকলী এলাকার কয়েকটি আবাসিক হোটেলে তল্লাশি চালায় পুলিশ।
এ ব্যাপারে পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার মো. আবদুল আহাদ সাংবাদিকদের বলেন, বনানীর কাকলী এলাকায় জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরা অবস্থান করছেন, এমন সন্দেহে পুলিশের ব্লক রেইড চলছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনাক্রমে রাত থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ব্লক রেইড শুরু হয়েছে।
এছাড়া রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার স্বার্থে সতর্ক রয়েছি আমরা। ঘটনা তদন্তে মাঠে নেমেছে পুলিশ। ’