ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল ৪ জনের, নতুন ভর্তি ৩০৯ জন

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এনামুল হক ও ফরিদপুর ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. আসম জাহাঙ্গীর চৌধুরী টিটু। মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন: ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার আসমত আলীর স্ত্রী খাদিজা বেগম (৬০), মধুখালী উপজেলার বাঘবাড়ি গ্রামের কালিপদ পালের ছেলে কৃষ্ণপদ পাল (৪০), সদরপুর উপজেলার জাকেরের ডাঙ্গী গ্রামের আ. খালেক মোল্লার ছেলে তাজল মোল্লা (৫৫) এবং গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি উপজেলার রাইতকান্দি গ্রামের হারুন মোল্লার ছেলে সজিব মোল্লা (২৮)। ডা. এনামুল হক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালটিতে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ১০৪ জন রোগী। বর্তমানে হাসপাতালটিতে ৩৬১ জন রোগী চিকিৎসাধীন।ফরিদপুর ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. আ স ম জাহাঙ্গীর চৌধুরী টিটু জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাজল মোল্লা নামে এক রোগী মারা গেছেন। বর্তমানে হাসপাতালটিতে ৮৭ জন রোগী চিকিৎসাধীন। ফরিদপুরের সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৩০৯ জন রোগী। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৮৯৭ জন।তিনি আরও জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৬১ জন, জেনারেল হাসপাতালে ৯৫ জন, বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯৬ জন, ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬৩ জন, নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ জন, আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৫ জন, সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪৩ জন, মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯৪ জন, চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৩ জন এবং ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮৭ জন চিকিৎসাধীন। সিভিল সার্জন জানান, হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৪৪ জন। মারা যাওয়া ব্যক্তিরা রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাগুরা, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১০ হাজার ১৩৮ জন। এর মধ্যে ৯ হাজার ১৯৭ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।