ফটিকছড়িতে বেড়েছে সর্পদংশন, একমাসে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরল ২১ রোগী

গত এক মাসে ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে ঘরে ফিরেছে নারী-শিশুসহ ২১ সাপেকাটা রোগী। গত ১৯ জুন থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন সাপে কাটা এসব রোগী। সুস্থ হয়ে ঘরে ফেরা রোগীদের মধ্যে রয়েছে দুই শিশু ও এক নারী।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গেল একমাসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপেকাটা রোগীর সংখ্যা হঠাৎ করে বাড়তে থাকে। ভর্তি হওয়া ২১ রোগীর অধিকাংশ পুরুষ। যাদের বয়স পঞ্চাশের নিচে।

রোগীর স্বজনদের সাথে কথা হলে বেশিরভাগই জানান, বসতঘরের আশপাশে কিংবা ঝোপঝাড়ে কাজ করতে গিয়ে বিষাক্ত সাপের ছোবলের শিকার হয়েছেন তারা।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আরেফীর আজিম বলেন, ফটিকছড়ির এমপি নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মহিউদ্দিন, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ইলিয়াছ চৌধুরীর নির্দেশে সাপে কাটা রোগী ভর্তি নিচ্ছি। গত একমাসে ফটিকছড়িতে শিশু-নারীসহ ২১ জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সবাই সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরে গেছেন।

তিনি আরও বলেন, এক সময় ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপেকাটা রোগীর চিকিৎসা ছিল না। বর্তমানে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়েছে।

এ সময় সাপেকাটা রোগীদের ঝাড়ফুঁক কিংবা ওঁঝার কাছে গিয়ে সময় নষ্ট না করে দ্রুত হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার অনুরোধ জানান এ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।