৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জনসভা কেন্দ্র করে দিনরাত প্রচারে সরগরম হয়ে উঠেছে পুরো চট্টগ্রামের জনপদ। পোস্টার–ব্যানারের পাশাপাশি মাইকিং, লিফলেট বিতরণ চলছে বিভিন্নস্থানে, পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও দেখা যাচ্ছে সরব প্রচারণা।
আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি নগরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা নিজেদের নামে ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার টাঙিয়ে তাঁদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) চট্টগ্রাম নগরের প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গন থেকে ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে মাইকিং করেন নগর া্ওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজনসহ অন্যান্য নেতারা।
১১ বছর পর শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে কোনো দলীয় সভায় ভাষণ দেবেন। শীর্ষ নেতারা বলছেন, প্রতিটি প্রচারণার মূল সুর জনসভাকে সফল করা হলেও এর পাশাপাশি বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা নিজেদের সক্রিয় দেখানোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। এর মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতে সংগঠনে একটি অবস্থান তৈরি করতে চাইছেন তাঁরা।

সরেজমিন দেখা যায়, শেখ হাসিনার জনসভাকে ঘিরে ব্যাপক প্রচারে সরগরম হয়ে উঠেছে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। পুরো চট্টগ্রাম জুড়ে এখন বিরাজ করছে সাজ সাজ রব। শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছায় সিক্ত করতে নেতাকর্মীরা ব্যস্ত ব্যানার-পোস্টার ও বিলবোর্ড লাগাতে। জনসভা ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। জনসভা সফল করতে দিন-রাত নগর থেকে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতা থেকে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।
নগরীর প্রেসপাড়া খ্যাত আন্দরকিল্লাস্থ বিভিন্ন ছাপা খানায় ঘুরে দেখা গেছে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে চলছে শুভেচ্ছা বার্তা সম্বলিত ব্যানার, পোস্টার ও লিফলেট তৈরির ধুম। এদিকে নগরীর সড়কে সড়কে শোভা পাচ্ছে হরেক রকমের ব্যানার-পোস্টার। যেখানে স্থান পাচ্ছে বিভিন্ন রকমের শুভেচ্ছা বার্তা। এছাড়া জনসভার স্থানে চলছে তুমুল প্রস্তুতি। প্রতিদিনই চলছে সভা-সমাবেশ মাইকিং, লিফলেট বিতরণসহ নানা ধরণের প্রচার প্রচারণা। নগরীর ২০টি স্পটে চলছে টানা মাইকিং।
চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ জনসভা সফলে মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিসহ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
জনসভার প্রস্তুতি সম্পর্কে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন জানান, ইতোমধ্যে পলোগ্রাউন্ডের জনসভার প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। আমাদের প্রত্যেক এমপি এবং নেতারা নিজ নিজ এলাকা থেকে লোকজন আনার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন। মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ থেকে প্রচুর লোকজন আসবে।