সংসদ নির্বাচনে প্রকাশ্যে ভোট দিয়ে বিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিলেন নতুন সরকারের ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। তিনি বিষয়টি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকালে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ধর্মমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশে সরকার, আইন, সংবিধান সবকিছুই আছে। আমিও আইনের ঊর্ধ্বে নই, কেউই নন। অতএব, বিধান অনুসারে নির্বাচন কমিশন আমাকে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলেছে। আমি উপস্থিত হয়েছি এবং আমার কথা বলেছি কমিশনের কাছে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’ তিনি দাবি করেন, তার যতটুকু বিশ্বাস মেজর কোনও অপরাধ যদি নাও হয়ে থাকে, তারপরেও বলেছেন, তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। অতএব নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি ক্ষমাশীল দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ করেছেন। কমিশন বলেছে যে, তারা বিষয়টি দেখবে। এটা তাদের বিষয়। এই কর্মকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগ বিব্রত কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না, আওয়ামী লীগ বিব্রত না। কেউ বিব্রত না।’ প্রকাশ্যে ভোট দেওয়া কি আপনার অপরাধ ছিল— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যতটুকু বলার আমি বলেছি আপনাদের। এর চেয়ে বেশি কিছু বলার সুযোগ নেই এখানে।’ প্রসঙ্গত, জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনের একটি কেন্দ্রে গোপন কক্ষে না গিয়ে প্রকাশ্যে ব্যালট পেপারে সিল দেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফরিদুল হক খান। গত ৭ জানুয়ারি (রবিবার) সকাল ৯টার দিকে ইসলামপুর উপজেলার পলবান্ধা ইউনিয়নের সিরাজাবাদ উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। গণমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদও প্রকাশিত হয়।