পেকুয়ায় হামলায় আহত আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু

কক্সবাজারের পেকুয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় আহত জাকের হোসেন (৪০) নামে এক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।

নিহত জাকের হোসেন পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ড হরিণাফাঁড়ি এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।

জানা গেছে , পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা বাজারপাড়ার টিপু সুলতানের টিউবওয়েল বসানোর শ্রমিকের কাজ করতেন হরিণাফাঁড়ি এলাকার আবদুল জলিলের ছেলে মনির উদ্দিনসহ ৫ ব্যক্তি। বেতন বকেয়ার জেরে টিপুর সাথে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে টিপুর মালামাল জব্দ করে রাখে তারা। বুধবার সকালে টিপুর পক্ষ হয়ে জাকের হোসেন মনিরদের বাড়িতে গিয়ে মালামাল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এর জেরে বুধবার রাতে বাজার থেকে ঘরে ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা দা দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জাকের হোসেনকে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসত জাকের হোসনকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে তিনি মারা যান।

এর আগে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় গত বুধবার রাতে জাকের হোসেনের স্ত্রী নাহারু বেগম বাদি হয়ে পেকুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ এজাহার নামীয় আবদুল জলিল নামে একজনকে গ্রেফতার করে।

পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ওমর হায়দার বলেন, মারামারি মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে। আসামি আবদুল জলিলকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। অপর আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে তিনি জানান।