পূবাইলে নিজের জমিতে কাজ করার সময় প্রতিপক্ষের বাধার ঘটনা ঘটেছে।এতে নিজ দখলীয় জমিতে কাজ করার সময় প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন জমির মালিক আবু হানিফের ছেলে মোস্তফা কামাল ও তার পরিবার।পরে স্হানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের চিকিৎসার জন্য শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।ঘটনাটি ঘটে ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে নগরীর ৩৯ নং ওয়ার্ড হায়দরাবাদ তালগাইছার টেক এলাকায়।স্হানীয় ভাবে জানা যায় হায়দরাবাদ সাকিনস্থ সাহেব আলীর ছেলে আবু হানিফ পৈতৃক ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত ১৩ শতাংশ জমি যার আর এস ২৬৩৭ নং দাগে প্রায় ৭০ বছর ধরে ভোগদখল করে আসছে।পক্ষান্তরে সোলেমান আর এস ২৬৩২ নং দাগে নোয়াব আলীর অংশের জমি খরিদ করে যা দখলীয় মালিকানা পজিশন ভিন্ন। আবু হানিফ গংদের অভিযোগ কিছু দিন পূর্বে সোলেমান এর ছেলে আমজাদ ও ইমরান মাস্টার কিছু লোকজন নিয়ে রাতের অন্ধকারে বালি ভরাট করলে উভয়ের মধ্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর সরেজমিনে আবু হানিফ ও সোলেমান হোসেন ভূঁইয়াদের মাঝে ঐ জমি নিয়ে বিরাজমান সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে স্হানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কাগজ পর্যালোচনা করে দেখেন যে,সোলেমান ভূঁইয়াদের দলিলে মালিকানা একদাগে দখল অন্যদাগে।পরবর্তীতে আবারো ৫ অক্টোবর উভয় পক্ষ সমাধানের জন্য এলাকার লোকজনকে সাথে নিয়ে তাদের নিজ নিজ জমি পরিমাপ করে নেন।
সে লক্ষ্যে আবু হানিফের ছেলে মোস্তফা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা জমিতে কাজ করতে গেলে সোলেমানের ছেলে আমজাদ ও ইমরান মাস্টারসহ অজ্ঞাত লোকজন তাদের কাজে বাধা ও হামলা চালায় বলে জানা যায়। এবিষয়ে ভূক্তভোগী আবু হানিফের পরিবারের পক্ষে আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে পূবাইল থানায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযুক্তরা হলেন সোলেমানের দুই ছেলে ইমরান, আমজাদ সহযোগী বাবুল ফাহিম , জয়নালের ছেলে মাইনুদ্দিন সহ ১০/১২ জন। অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায় পূবাইল থানাধীন হায়দরাবাদ তালগাইছারটেক সাকিনস্থ আমার বোন জামাই মোস্তফা কামাল (৩৬) এর পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ১৩ শতাংশ জমি আছে। উক্ত জমি আমার বোন জামাই আবু হানিফের ছেলে মোস্তফা ভোগদখল করাকালে অন্যায়ভাবে সোলেমান গং হাতে ধারালো দা, লাঠি সোঠা ইত্যাদি সঙ্গে নিয়া ১৫ অক্টোবর সকাল ১১টার দিকে পূবাইল থানাধীন হায়দরাবাদ তালগাইছারটেক সাকিনস্থ আমার বোন জামাই এর পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে জোর পূর্বক জমি দখল নেওয়ার চেষ্টা করে। আমার বোন জামাই কারণ জিজ্ঞেস করলে ন্যায় সঙ্গত প্রতিবাদ করলে আমজাদ ও তার সহযোগীরা ধারালো দা দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে মোস্তফা ও তার পরিবারের উপর আঘাত করে। এবিষয়ে সোলেমানের ছেলে ইমরান মাস্টার জানান,আমরা যে দলিলে জমি ক্রয় করি সেখানে ভুলবশত জমির আর এস দাগ ২৬৩৭ এর স্থলে ২৬৩২ উঠে কিন্তু পরবর্তীতে আমরা কোর্টের মাধ্যমে তা সংশোধন করে নেই।পূবাইল থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আমিরুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।