অনেকেই পুরো শরীরের ব্যথায় ভুগে থাকেন। বিশেষ করে নারীদের এই সমস্যা বেশি হয়। শরীরের পাঁচটা অংশের যদি চারটা অংশ একসঙ্গে ব্যথা হয় তাহলে বুঝতে হবে এটি একটি রোগের লক্ষণ। ওই রোগের নাম ফাইব্রোমায়ালজিয়া।
অর্থোপেডিক ফিজিওথেরাপি এবং ব্যথা বিশেষজ্ঞ ডা. মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, মধ্যবয়ষ্ক নারীদের পুরো শরীরে ব্যথাজনিত রোগ বেশি হয়। শরীরের পাঁচটা অংশের যদি চারটা অংশ একসঙ্গে ব্যথা করে তাহলে এই রোগকে ফাইব্রোমায়ালজিয়া বলা হয়। শরীরের পাঁচটি অংশের মধ্যে দুই পা, দুই হাত এবং জিহ্বা। ফাইব্রোমায়ালজিয়া হলে এই পাঁচটির মধ্যে চারটি অংশ একসঙ্গে ব্যথা অনুভব হবে।
বেশিরভাগ সময় মানসিক কারণে এই সময় হয়ে থাকে। এ ছাড়া বংশগত কারণে এবং ধুমপান করার কারণেও এই রোগ হয়। এই ব্যথা তিন মাসের অধিক স্থায়ী হয়। এই রোগে আক্রন্তরা ক্লান্ত হয়ে পড়েন, হতাশায় ভোগেন। এবং এরা কাজে মনোযোগ দিতে পারেন না।
এই ধরনের ব্যথা দেখা দিলে করণীয় সম্পর্কে কনসালটেন্ট পেইন মেডিসিন ডা. জোবায়ের হুসাইন বলেন, সাইকেলিং, সাঁতার কাটা ব্যথা কমাতে কার্যকর হতে পারে। সপ্তাহের যেদিনগুলোতে শরীর ভালো থাকবে সেই দিনগুলোতে অতিরিক্ত পরিশ্রম করা যাবে না। আবার যেদিনগুলোতে শরীর খারাপ থাকবে সেই দিনগুলোতে একেবারে অবসরে থাকা উচিত হবে না। শারীরিক পরিশ্রমের ক্ষেত্রে একটা ব্যালেন্স রুটিন তৈরি করতে হবে।
অনেক সময় এই রোগ ঘুমের ব্যঘাত ঘটায়। ফাইব্রোমায়ালজিয়ায় আক্রান্তদের প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ে বিছানা ছেড়ে উঠতে হবে। এতে ভালো ঘুম হবে। চেষ্টা করবেন দিনের বেলায় না ঘুমানোর।
মেডিটেশন এবং ইয়োগা মানসিক অবস্থা ভালো রাখে। এতে শরীরের ব্যথাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
প্রয়োজনে ওষুধ সেবন করতে হবে।
উল্লেখ্য, চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করতে হবে। নিজ থেকে পেইনকিলার খাবেন না। এই ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে ফিজিওথেরাপির প্রয়োজন হতে পারে।