পালিয়ে গিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি জুয়েলের!

সিলেট থেকে তিন সহযোগীসহ মনা হত্যার প্রধান আসামি আকট

চট্টগ্রামের স্টেশন রোডে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয় সাহেদ হোসেন মনা (২৮) নামে এক যুবককে। ঘটনাটি ঘটে ৭ জুলাই রাতে নগরীর স্টেশন রোডের পাখি গলিতে। ওই ঘটনার তিন দিন পর সিলেট থেকে তিন সহযোগীসহ ধরা পড়েছেন খুনের প্রধান আসামি স্টেশন রোড ও রিয়াজউদ্দীন বাজার এলাকার ত্রাস জুয়েল। নিহত সাহেদ হোসেন মনাকে নৃশংসভাবে হত্যার পর ওই রাতেই চট্টগ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায় জুয়েল ও তার কিশোরগ্যাংয়ের সহযোগী সদস্যরা।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুরে সিলেট থেকে জুয়েলকে আটক করে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানা পুলিশের একটি টিম। এ সময় খুনে অভিযুক্ত সাগর নামে তার আরও এক সহযোগী ধরা পড়েছে বলে জানা গেছে।

জুয়েলকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, জুয়েল সহ তার কিছু সহযোগীদের আমরা সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। রাতের মধ্যেই তাদের চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হবে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিন) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের কার্যালয়ে শুক্রবার সকাল ১১ টায় এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

জানা যায়, রোববার (৭ জুলাই) রাতে মনাকে হত্যার পর জুয়েলের নেতৃত্বাধীন কিশোরগ্যাংয়ের একটি দল চট্টগ্রামের অলংকার মোড় বাসস্টেশন থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে পালিয়ে যায়।

এছাড়াও ওই রাতেই সাতজনের আরও একটি দল চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকা মেইল ট্রেনে পালিয়ে যায়। এর আগে ঘটনার মূল হোতা জুয়েলসহ তার গ্রুপের সকল সদস্য একযোগে তাদের ফেসবুক আইডি ডিঅ্যাক্টিভেট কওে দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, খুনের ঘটনার পরপর ২০ থেকে ৩০ জনের একটি দল রিয়াজউদ্দীন বাজার ও রেলস্টেশন রোড এলাকায় যুবলীগ নেতার সঙ্গে খুনে অভিযুক্ত জুয়েলের ছবিসম্বলিত সব ব্যানার ও পোস্টার সরিয়ে নেয় ও ছিঁড়ে ফেলে।

মনার স্বজনদের দাবি, ‘এক যুবলীগ নেতার মদদে সন্ত্রাসীরা মনাকে হত্যা করেছে।’

এ ঘটনায় নিহত সাহেদ হোসেন মনার বাবা নিজে বাদী হয়ে জুয়েলসহ ১১ মোট ১২ জনের নাম উল্লেখ করে আরও নাম-না-জানা ৫-৬ জনকে আসামি করে কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েক জনের নাম- গোয়ালপাড়া তুলাতলী বস্তির মো. শুক্কুর (৩৫), রহিম (২৬), নুপুর মার্কেটের জুয়েল ওরফে মুরগী জুয়েল (৩২), আলকরণ ৩ নম্বর গলির মো. সজীব (২৪), পটিয়ার কচুয়াইয়ের বাসিন্দা শেখ ফরহাদ (২২), পূর্ব মাদারবাড়ি কামাল গেইটের হানিফ (৩৫), উত্তর নালাপাড়া বাচুনীর মার কলোনির সবুজ (৩২), রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় ভাসমান বাসিন্দা সাগর (২৮) ও শাটল (২০), কদমতলীর বশির ওরফে টিউমার বশির (৩০), স্টেশন কলোনির ইকবাল (৩১) ও শাকিল (২০)।