প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের পদ্মা পেপার মিলসের বিপরীত পাশে সড়কের ২০০ গজ ভিতরে ডিএসকে অফিসের পাশে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে অবাধে চলছে যৌনকর্মীদের অসামাজিক কাজ। দিন-দুপুরে ওই খানে চলে গাঁজা, ফেনসিডিল, হিরোইন ও ইয়াবা সেবন, বিক্রিসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড।
বিগত পাঁচ বছর আগের পরিত্যাক্ত বাড়িতে কোন ভাড়াটিয়া না থাকায় বাড়ির হয়ে উঠেছে অপরাধীদের অভয়ারন্ন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নির্জনতার সুযোগে দিনের বেলায় ওই খানে মাদকাসক্তরা আশ্রয় নেয়। রাতের বেলায় মাদক সেবন ও বিক্রির পাশাপাশি চলে ভ্রাম্যমাণ যৌনকর্মীদের অবাধ চলাফেরা। বিভিন্ন সময় এসব বাসায় অপরাধীরা অবস্থান নিয়ে এলাকায় চুরি–ডাকাতির প্রস্তুতি নেয় বলে যানাযায়।
শনিবার (১২নভেম্বর) সরজমিনে গিয়ে সত্যতাও পাওয়া গিয়েছে। সেখানে বেশকয়েকটি রুমে মাদক সেবন ও যৌন কাজে ব্যবহৃত পন্য সামগ্রী পাওয়া যায় এবং অপরাধীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
অনুসন্ধানে জানাযায়, বাড়ির মালিকের নাম হারুন। তিনি বর্তমানে কাতারে অবস্থিত । তবে বাড়িটি দেখাশোনা করে মোঃ রহিম নামের এক সিএনজি চালক। তিনি দেশ বর্তমানকে জানান, ‘পুরো বাড়িটির তিনদিকে বাউন্ডারি করা ও গেট বন্ধ থাকে। আমি সিএনজি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। কে কখন ওই খানে কি করে বলতে পারিনা। ঝুঁকিপূর্ণ বাড়ি জেনেও স্কুল কলেজ পড়ুয়া তরুণ-তরুণী ও স্থানীয় যুবকরা ছবি তোলার বাহানাসহ নানা অযুহাতে এখানে প্রায়ই ঢুকে যাচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা শোনেনা। কোন দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায়-দায়িত্ব কে নেবে? আমি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, ওই পরিত্যক্ত টিনসিট বাসার যে অপকর্ম হয় তার একটি অংশ সিএনজি চালক পায়। তবে এবিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। স্থানীয় অপর এক ব্যক্তি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দেশ বর্তমানকে জানান, সড়ক থেকে একটু ভিতরে বাসাটি হওয়ায় মাদকসেবী এবং অপকর্মকারীরা দিনেরাতে নিরাপদে সময় কাটায়। তাছাড়া নির্জন হওয়ায় সব রকমের কাজই এখানে সংঘটিত হয়ে থাকে।
তাছাড়া, বাড়ির মালিক দেশে নেই হারুনের স্ত্রী ও সন্তানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ জানায় যেহেতু ওখানে কেউ থাকেনা অসামাজিক কার্যকলাপে কথা আমি জানতে পেরেছি এবং দ্রুত আমি টিনের বেড়া খুলে ফেলব সে স্হান খোলামেলা হয় যাতে কোন অসামাজিক কার্যকলাপ না হয় এবং ঔ জমিটি বিক্রয় চেষ্টা চলছে ।
এলাকার বাসির নিরাপত্তার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর অভিযান অপরিহার্য্য বলে সচেতন মহল জানায়। স্থানীয় বাসিন্দারা এসব কর্মকাণ্ড বন্ধে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন