পণ্য রাখার জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে জায়গা চায় ভারত

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর অর্থনীতি শক্তিশালী করতে চট্টগ্রাম বন্দরে বিশেষ জায়গা চেয়েছে ভারত।  ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা নিশ্চিতে ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের বার্ষিক অধিবেশনে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজকুমার রঞ্জন সিং এ অনুরোধ জানান।  প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) শুক্রবার (১১ নভেম্বর) এ নিয়ে প্রতিবেদনও প্রকাশ করে।

তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পায়নি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।  চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম. শাহজাহান এ কথা জানান।

ভারত এমন সময় এই প্রস্তাব দিল যখন ভারত-বাংলাদেশ চুক্তির অধীনে দুই দেশের মধ্যে পরীক্ষামূলক ট্রান্সশিপমেন্ট চালান পাঠানো কেবল এক সপ্তাহ আগে শেষ হয়েছে।  সর্বশেষ চালানটি শুধু চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কলকাতা পাঠাতে সময় লেগেছে ৫২ দিন।

গত সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে ভারত বাংলাদেশকে ট্রানজিট সুবিধার প্রস্তাব দেয়।  অর্থাৎ ভারতের সমুদ্র, স্থল ও নৌপথ ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পণ্য পরিবহন করতে পারবে বাংলাদেশ।  এ বিষয়ে অবশ্য এখনও কোনো চুক্তি হয়নি।

উন্নত বন্দরে ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা নির্বিঘ্ন করার জন্য নির্ধারিত স্থান বা ইয়ার্ড রাখা হয়।  যেখানে শুধু সেই পণ্যই থাকে।  চট্টগ্রাম ও  মোংলা বন্দরের কেউই এখনও সেই ডেডিকেটেড ইয়ার্ড রাখেনি।  কারণ এখনও এটা পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে।  পুরোদমে শুরু হলে নির্ধারিত ইয়ার্ড থাকবে।

ভারত মনে করছে, চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য রাখার জন্য বিশেষ জায়গা পাওয়া গেলে ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় অর্থনীতি শক্তিশালী হবে।  এদিকে ভারত সম্প্রতি ইন্ডিয়া বাংলাদেশ প্রটোকল রুটের আওতায় চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরে পরীক্ষামূলক ট্রান্সশিপমেন্ট কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির (পোর্ট অ্যান্ড শিপিং) কো-চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক শাহ বলেন, ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দিতে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি, ইয়ার্ড ফ্যাসিলিটি আছে।  এখন পুরোদমে ট্রান্সশিপমেন্ট পণ্য পরিবহন শুরু হলে সেই অনুযায়ী স্থান বরাদ্দ রাখতে পারবে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

তিনি বলেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর, পায়রা বন্দর এবং বে টার্মিনাল চালু হলে প্রতিবেশী দেশের কার্গো ভলিউম অবশ্যই অনেক বেড়ে যাবে।