নাতনির মৃত্যু শোকে মারা গেলেন দাদি

কুড়িগ্রামে খালের পানিতে ডুবে আট বছর বয়সী মিনা খাতুন নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর ৯ ঘণ্টা পর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার দাদি মর্জিনা বেগমও (৫৫) মারা গেছেন। নাতনির মৃত্যু শোকে তিনি মারা যান বলে দাবি পরিবারের। মিনা খাতুন সদরের ভোগডাঙা ইউনিয়নের মিস্ত্রিপাড়া গ্রামের কাঠমিস্ত্রি মফিজুল ইসলামের মেয়ে। মর্জিনা বেগম মফিজুলের মা ও মিনার দাদি।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার  ঘোগাদহ ও ভোগডাঙা ইউনিয়নে পৃথকভাবে এ ঘটনা ঘটে।

ভোগডাঙা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ও সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য ফেরদৌসী বেগম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, মিনা খাতুন ঘোগাদহ ইউনিয়নের সোনালীরকুটি গ্রামে তার নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বিকাল ৩টার দিকে বাড়ির কাছে একটি ডোবার পানিতে পড়ে মারা যায়। পরে তার লাশ নিজ বাড়ি ভোগডাঙা ইউনিয়নের মিস্ত্রিপাড়া গ্রামে এনে পারিবারিকভাবে দাফন করা হয়। দিবাগত রাত ১২টার দিকে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মর্জিনা মারা যান। নাতনির মৃত্যু শোক সইতে না পেরে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান বলে পরিবারের পক্ষ জানানো হয়েছে।

পরে বুধবার সকালে নাতনি কবরের পাশেই দাদিকে দাফন করা হয়। তাদের মৃত্যুতে পরিবারসহ এলাকাবাসীর মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

প্রতিবেশী আব্দুল মালেক বলেন, মর্জিনা নাতনিকে শিশুকাল থেকে লালন-পালন করেছেন। মৃত্যু শোক হয়তো তিনি সহ্য করতে পারেননি। তাদের এমন মৃত্যু এলাকাবাসীকেও শোকাচ্ছন্ন করেছে।

ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নাতনির মৃত্যু শোকে তার দাদি মর্জিনা রাত ১২টার দিকে মারা যান। মঙ্গলবার রাত ৭টায় মিনার জানাজা হয়। আর বুধবার সকাল ১০টার দিকে জানাজা শেষে মিনার কবরের পাশে তার দাদিকে দাফন করা হয়েছে।