নয়াপল্টনে সমাবেশে অংশ নিতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। ইতোমধ্যে সমাবেশের জন্য মঞ্চও প্রস্তুত করা হয়েছে। ছয়টি ট্রাক দিয়ে এই অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।
বুধবার দুপুর ২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
সরেজমিন দেখা যায়, বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে ফকিরাপুল মোড় এবং নাইটিঙ্গেল মোড়ে সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন পুলিশসহ সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। কাউকে সন্দেহ হলে তল্লাশি করতেও দেখা গেছে। অন্যদিকে বিএনপির সমাবেশের কারণে ফকিরাপুল মোড় থেকে কাকরাইল মোড়গামী সড়কে যানচলাচল এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে।
দেখা গেছে, সমাবেশে অংশ নিতে আসা বিএনপির মধ্যম সারির নেতাদের বসার জন্য মঞ্চের দুই পাশে চেয়ার দেওয়া হয়েছে। আর নেতাকর্মীদের বসার জন্য সড়কে বিছানো হয়েছে কাপের্ট।
মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান সকাল থেকে কার্যালয়ে সমাবেশের কার্যক্রম তদারকি করছেন। তিনি বলেন, আমাদের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আসতে শুরু করেছে। স্মরণকালের সমাবেশ আমরা প্রত্যাশা করছি। এই সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে আমরা শেষ করতে পারব বলে আশাবাদী।
এদিকে ব্যানার, ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে উপস্থিত হচ্ছেন। এসময় খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ এবং সরকার বিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করে তুলেন তারা। এছাড়া নেতাকর্মীরা মাথায় বিভিন্ন রঙের ক্যাপ এবং জাতীয় পতাকা নিয়ে সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন।
এদিকে সমাবেশ ঘিরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশপাশে কঠোর অবস্থান রয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা। কার্যালয়ের আশপাশে সাদা পোশাকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, দুপুর ২টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হবে। নেতাকর্মীরা সমাবেশে আসতে শুরু করেছেন।
জানা গেছে, এক দফায় বলা হয়েছে- বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী বর্তমান ফ্যাসিবাদী, কর্তৃত্ববাদী সরকারের পদত্যাগ ও বিদ্যমান অবৈধ সংসদের বিলুপ্তি; নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করে তার অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা; বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তি; রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত ও তার গণতান্ত্রিক রূপান্তরের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক ও শাসনতান্ত্রিক সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে রাজপথে সক্রিয় বিরোধী রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো যুগপৎ ধারায় ঐক্যবদ্ধ বৃহত্তর গণআন্দোলন গড়ে তোলা ও তা সফল করা।
এমএইচএফ