‘নতুন’ দেশ বর্তমানের জমকালো যাত্রা শুরু
গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পাশাপাশি চাই দায়িত্বশীলতাও: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে সংবাদপত্র অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করছে। পৃথিবীর অনেক দেশে এ সুযোগ নেই। এখানে সাংবাদিকরা সব কিছু লিখতে পারে। পৃথিবীর অনেক দেশে স্বাধীনতা যেমন আছে, তেমনি তাদের কাজ সম্পর্কে দায়িত্বশীলতাও রয়েছে। ভুল সংবাদ পরিবেশনের জন্য জরিমানা গুনতে হয়, শাস্তিও পেতে হয়। আমাদের দেশে ভুল সংবাদ বা অসত্য সংবাদের জন্য এখন পর্যন্ত কোনো গণমাধ্যমকে জরিমানা গুনতে হয়নি। মাঝেমধ্যে প্রেস কাউন্সিল থেকে দু-একটি গণমাধ্যমকে তিরস্কার করে বটে, কিন্তু তাদের আর কিছু করার ক্ষমতা নেই। তাই গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পাশাপাশি আমাদের সবার সম্মিলিত দায়িত্বশীলতাও নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
গতকাল রবিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে জাতীয় দৈনিক ‘দেশ বর্তমান’-এর নবযাত্রা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। পরে মন্ত্রী কেক কেটে দৈনিক দেশ বর্তমান পত্রিকার নবযাত্রার ঘোষণা করেন।
এদিন পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান দৈনিক দেশ বর্তমানের প্রধান সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিরুদ্দিন চৌধুরী। মন্ত্রীকে ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানান পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশক এস এম জমির উদ্দিন।
পরে পত্রিকার প্রধান সম্পাদক নাসিরুদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও ডেইলি আবজারভার পত্রিকার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশক এস এম জমির উদ্দিন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংবাদিক ফোরাম-ঢাকার সভাপতি শাহীন উল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ, দেশ বর্তমান পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক লাকি আকতার, প্রধান প্রতিবেদক আসিফ সিরাজ, ঢাকা অফিসের প্রধান শিবুকান্তি দাশ প্রমুখ।
ড. হাছান মাহমুদ তাঁর বক্তব্যে দেশ বর্তমান পত্রিকার নতুনযাত্রাকে ঘিরে পত্রিকার মালিক, সম্পাদক ও কর্মরতদের শুভেচ্ছা জানান। একইসঙ্গে একটি কঠিন সময়ে নতুন এই দৈনিকের প্রকাশের সাহস করার জন্য পত্রিকাটির প্রকাশককে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, নতুন পত্রিকায় প্রথমে মালিকপক্ষকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। যারা পত্রিকা প্রকাশের সঙ্গে যুক্ত থাকেন তারা জানেন কত টাকা ভর্তুকি দিতে হয়। একটি পত্রিকা প্রকাশ করা অনেক সাহসের ব্যাপার। তিনি বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে চট্টগ্রাম ‘মেকিং’ করে ঢাকায় এই দৈনিক প্রকাশ করা হবে। আবার ঢাকা থেকে সারাদেশে বিতরণ করা হবে। এটি আমাদের দেশে প্রথম।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গণমাধ্যমের জন্য যুগান্তকারী অনেক কাজ করেছেন। ২০১২ সালে যেখানে দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ছিল সাড়ে চারশ, সেখানে আজ দেশে সাড়ে ১২শ পত্রিকা। যেখানে টিভি চ্যানেলের সংখ্যা ছিল ১০টি, সেখানে আজ সম্প্রচারে গেছে ছত্রিশটি চ্যানেল। আরও কয়েকটি চ্যানেল সম্প্রচারের অপেক্ষায় রয়েছে। এফএম রেডিওর লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে ২৪টির। যারমধ্যে সম্প্রচারে রয়েছে ১৪-১৫টি। কমিউনিটি রেডিওর লাইসেন্স দেওয়া আছে তিন ডজনের মতো। বেশিরভাগই সম্প্রচারে আছে। এগুলোর সঙ্গে অনলাইন পত্রিকাও প্রকাশ হচ্ছে। গত ১৪ বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আমাদের কাছে পাঁচ হাজারের মতো অনলাইনের আবেদন রয়েছে। ইতোমধ্যে ১২শ অনলাইনের রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়েছে। এভাবে গণমাধ্যমের বিকাশের পাশাপাশি অনেকগুলো চ্যালেঞ্জও যুক্ত হয়েছে। সেইসঙ্গে প্রতিযোগিতাও এসে গেছে। সঠিকভাবে সংবাদ প্রকাশ করা এবং সবার আগে সব খবর দেওয়ার প্রতিযোগিতা।
মন্ত্রী বলেন, প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে অনেকে মিথ্যা সংবাদও প্রকাশ করছে। অনলাইনের ক্ষেত্রে এসব বেশি হয়। প্রতিযোগিতা মোকাবেলা করে টিকে থাকা সংবাদপত্রের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটি সংবাদপত্রকে গণমানুষের সংবাদপত্র হিসেবে গড়ে তোলা তাই একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
তিনি বলেন, সংবাদপত্র শুধু সংবাদ দেওয়ার জন্য নয়। সংবাদপত্র মানুষের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়। সমাজ-রাষ্ট্র কে কী করছে তা তুলে ধরতে হবে। করণীয় কী তা তুলে ধরতে হবে। দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। একইসময়ে কিশোর-যুবক তরুণদের মনন তৈরিতে ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আমার ছেলেবেলায় একটু-আধটু লেখার অভ্যাস ছিল। পত্রিকায় ছোটদের পাতাগুলোতে লিখতাম। যেদিন আমার লেখা কবিতা বা ছড়া কোনো পত্রিকায় ছাপা হতো, সেদিন কী আনন্দ লাগত, সেটা বলে বোঝাতে পারতাম না। সেই ভালোলাগার অনুভূতি প্রকাশ করার ভাষা আমার জানা নেই। এখন অনেক ভালো ভালো পত্রিকায় ছোটদের পাতা নেই। রান্নাবান্না, খেলাধুলা, বিনোদনসহ নানা কিছুর পাতা আছে। কিন্তু ছোটদের পাতা হারিয়ে গেছে। দেশ বর্তমানের কাছে অনুরোধ রাখব সপ্তাহে না হলে ১৫ দিনে হলেও যেন ছোটদের জন্য পাতা করা হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, পত্রিকায় অনেক খবর আসে। কিন্তু রাস্তায় যে পাগলটা পাগলামী করে তার পাগলামীর পেছনে কী খবর আছে, তা অনুসন্ধান করে কেউ রিপোর্ট করে না। যে মেয়েটি পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিষিদ্ধ কোনো জায়গায় আশ্রয় নেয়, তার বেদনার খবর পত্রিকায় আসে না।
মন্ত্রী আরও বলেন, অনেক সাংবাদিক মনে করেন খারাপ খবর প্রকাশ করলে পত্রিকার কাটতি বাড়বে। সবক্ষেত্রে এসব ঠিক নয়। আমাদের দেশে দেখুন, জনসংখ্যা কতগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। খাদ্যে ঘাটতির দেশকে আমরা খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশ করেছি। আজকে পদ্মা সেতু হয়েছে। মেট্রোরেল হয়েছে। দেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নত হয়েছে। তাই ভালো খবরগুলোও প্রকাশ করতে হবে। দুই লেইনের রাস্তা ৬ লাইন, ৮ লাইন হয়েছে। জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। ব্যাপক শিল্পায়ন হয়েছে। মানুষের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু জমি বাড়েনি। কৃষি জমি কমেছে। ৫ কোটি জনসংখ্যার দেশ ১৭ কোটির দেশ হয়েছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজ থেকে ২০-৩০ বছর আগে ঢাকার বঙ্গবাজার ও চট্টগ্রামের জহুর হকার মার্কেট থেকে পুরানো কাপড় কিনে পড়তাম। এখন বঙ্গবাজার ও জহুর হকার মার্কেটে পুরানো কাপড় নেই। এই দুই মার্কেটে এখন গামের্ন্টসের নতুন কাপড় বিক্রি হয়। মানুষ এখন সারা বছর নতুন কাপড় পরে। বিদেশের বড় বড় শপিং মলে বাংলাদেশের গামের্ন্টসের নতুন নতুন কাপড় বিক্রি করা হয়। বিদেশিরা বাংলাদেশের তৈরি করা কাপড় কিনে পরে।
মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারিতে ভারত হিমশিম খেয়েছে। ১১৭টি দেশ করোনা টিকা দেওয়া শুরু করতে পারেনি। সেখানে বাংলাদেশে সবাইকে বিনামূল্যে টিকা প্রদান শেখ হাসিনা সরকারের বড় সাফল্য। উপমহাদেশে টিকা দেওয়া দেশ হিসেবে বাংলাদেশ পঞ্চম এবং এশিয়ায় প্রথম। এই যে সাফল্য, তা জানার অধিকার বাংলাদেশের জনগণের আছে।
তিনি বলেন, আজকে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে শেখ হাসিনার প্রশংসা হয়। বাংলাদেশের অগ্রগতি দেখে তারা দীর্ঘশ্বাস ফেলে। সেখানে টেলিভিশনের টকশোতে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়। প্রশংসা হয়। সেখানে ঝড় উঠে। পাকিস্তানের দায়িত্বশীল নেতাদের ব্যর্থতার আলোচনা হয় আর জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সাফল্য নিয়ে প্রশংসা করা হয়। আমাদের টেলিভিশনে শুধু সমালোচনা হয়।
মন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালে পৃথিবী থমকে গিয়েছে। তখন সমস্ত পৃথিবীর অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি পর্যালোচনা করে মাত্র ২০টি দেশের অর্থনীতি পজিটিভ পাওয়া গিয়েছিল। তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। ২০২১ সালে আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতকে ছাড়িয়েছে। সেটা নিয়ে ভারতে হৈ চৈ পড়ে গেল। ভারতের ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে ঝড় উঠে। কিন্তু আমাদের দেশে প্রশংসার ঝড় উঠেনি। এটাই বাস্তব। অবশ্যই ব্যর্থতার কথাও আসবে। যেখানে বিচ্যুতি, সেটার কথাও আসবে গণমাধ্যমে। দেশ বর্তমান সফলতা ও ব্যর্থতার কথা প্রচার করবে, তবেই মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। তখনই ব্যাতিক্রমী সংবাদপত্র হিসেবে পরিচিতি পাবে।
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, মার্চ মাস স্বাধীনতার মাস। এটি ঐতিহাসিক মাস। এই ঐতিহাসিক মাসে দৈনিক দেশ বর্তমান আত্মপ্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
দৈনিক দেশ বর্তমান নতুন কিছু করবে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আগামীদিনেও নতুন কিছু প্রমাণ করার মধ্যদিয়ে তাদের এই যাত্রা আরও সমৃদ্ধ করবে, এই কামনা করি। নানা সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যে সাহস করে পত্রিকা প্রকাশের জন্য একজন পেশাজীবী সাংবাদিক হিসেবে দেশ বর্তমান কর্তৃপক্ষকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, বিদ্যুৎ-গ্যাসসহ জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। এই অবস্থায় সংবাদপত্রের মালিকরা সাংবাদিকদের বেতন দেয় না। ঢাকা-চট্টগ্রামে কিছু সাংবাদিক বেতন পেলেও বাকি প্রায় ৯৫ শতাংশ সাংবাদিক তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হন। বেতন না পেলে তাদের কাছ থেকে কীভাবে ভালো রিপোর্ট বা অনুসন্ধানি রিপোর্ট আশা করা যাবে? এজন্যই অনুসন্ধানি রিপোর্ট হয় না। দেশের আইন অনুযায়ী সাংবাদিকদের নিয়মিত বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য সংবাদপত্র মালিকদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে দৈনিক দেশ বর্তমানের প্রধান সম্পাদক, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাক্ষী, লেখক ও সাংবাদিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, সবাই ঢাকা থেকে জাতীয় পত্রিকা প্রকাশ করে। আমরা একমাত্র চট্টগ্রাম থেকে ‘মেকিং’ করে ঢাকায় পত্রিকা প্রকাশ করব। আমি আশা করি, নতুন কিছু উপহার দিতে পারব। আমাদের এ নবযাত্রায় সবার সহযোগিতা কামনা করি। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই হবে আমাদের পথচলার আদর্শ।
দৈনিক দেশ বর্তমানের প্রকাশক ও সম্পাদক এস এম জমির উদ্দিন বলেন, দেশ বর্তমান দেশের সংবাদপত্রের গতানুগতিক ধারার নয়, বরং দেশ গঠনের নবতর প্রত্যয় নিয়ে গণতন্ত্র ও মুক্তচিন্তার প্রবাহমান ধারাকে আরও শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখতে চায়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার আকাক্সক্ষা ব্যক্ত করেছেন। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে চলেছেন, দেশের মানুষকে সেই লক্ষ্যে সংগঠিত করতে ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা বেগবান করতে ‘দৈনিক দেশ বর্তমান’ ভূমিকা রাখবে। দেশের উন্নতি ও অগ্রগতির পাশাপাশি শান্তি, মানুষে-মানুষে সম্প্রীতি ও মানবিকবোধে উজ্জ্বীবিত সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করব ইনশাআল্লাহ।
এস এম জমির উদ্দিন আশা প্রকাশ করে বলেন, অনেক প্রতিকূলতা ও অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতার মাঝেও সংবাদপত্র শিল্প সরকারের সুদৃষ্টি থেকে বঞ্চিত হবে না। বরং সরকার ও জনগণের মধ্যে সেতু হিসেবে সংবাদপত্র কল্যাণমুখী ভূমিকা পালন করে যাবে।
যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম বলেন, পত্রিকাটি যেন কোনো দলের লিফলেট না হয়। আশা করি, শিশুদের জন্য পাতা রাখার পাশাপাশি দৈনিক দেশ বর্তমান পত্রিকা নিরপেক্ষতা বজায় রেখে পাঠকপ্রিয়তা লাভ করবে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক শাহীন উল ইসলাম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য দৈনিক দেশ বর্তমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ বলেন, দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। আমার প্রত্যাশা, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে এই পত্রিকা অনন্য ভূমিকা রাখবে।