পার্বত্যাঞ্চলে প্রশিক্ষণরত নতুন জঙ্গি সংগঠন আর পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ক্যাম্পের অবস্থান পাশাপাশি ছিল বলে ধারণার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কেএনএফ, তারপর সন্তু লারমার একটা বাহিনী রয়েছে, পার্বত্য এলাকায় আরও বাহিনী রয়েছে। এরা সবসময়ই আমাদের সীমান্ত এলাকায় একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি করার জন্য প্রয়াস চালাচ্ছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রোববার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন। এর আগে তিনি বিশ্বের সর্বাধিক উচ্চতার (৬৮ মিটার) টিটিএল গাড়ির উদ্বোধন করেন।
সম্প্রতি নিখোঁজ তরুণদের সন্ধানে নেমে ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ নামে নতুন একটি জঙ্গি দলের খোঁজ পাওয়ার খবর দেয় র্যাব। এই জঙ্গি সংগঠনটিকে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফ প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বলেও জানায় র্যাব।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি পার্বত্য এলাকায় প্রশিক্ষণ নেওয়া জঙ্গিদের অবস্থান বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের ক্যাম্পের পাশাপাশি ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আমরা আমাদের এলাকায় থাকতে দিচ্ছি না, তাদেরকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যখনই টের পাচ্ছি যে কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী কিংবা জঙ্গি সংগঠন দেশের যে কোনো জায়গায় অবস্থান করছে, আমরা তাদেরকে সরিয়ে দিচ্ছি।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কেএনএফের সঙ্গে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার বিষয়গুলো আমরা দেখছি। যদি কানেকশান পাই সেটা আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। জঙ্গিদের কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছি এবং কয়েকজনকে শনাক্ত করেছি। তাদের কাছ থেকে বিষয়গুলো জেনে আপনাদেরকে জানাতে পারব।’