ধর্ষণের পর চিকিৎসক খুন: শ্রীজাতের কলমে সমাজের কঙ্কালসার চেহারা

কলকাতার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। ন্যক্কারজনক এ ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে কলকাতাবাসী।

কলকাতার তারকা অভিনয়শিল্পীরাও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছে তারা। এ তালিকায় রয়েছেন ওপার বাংলার কবি, গীতিকার, অভিনেতা-নির্মাতা শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

নারীর রক্তমাংসের শরীর নিয়ে কলম ধরলেন কবি। তার লেখা প্রত্যেক শব্দে যেন সমাজের কঙ্কালসার চেহারা ফুটে উঠেছে। শ্রীজাত নিজের ফেসবুকে একাধিক স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তার একটিতে চিত্রিত হয়েছে এই দৃশ্য।

শ্রীজাত লেখেন, ‘যোনি মানে তো চিরে রাখা রাস্তাই একটা, একটা সরু গলিপথ। কিন্তু সেটুকুতে মন উঠল না তোমার। তুমি সেই রাস্তায় কাটারি চালিয়ে আরো বড় রাস্তা বানালে। চেরাকে সোজা ফালা করে দিলে। আরো বড় জায়গা তৈরি হলো। তুমি রক্তমাংস কাদার মধ্যে দিয়ে হাত চালিয়ে ভেতর থেকে বার করে আনলে নাড়িভুড়ি। বাইরে পাহাড় তৈরি হলো ছোটখাটো। আর ভেতরে জায়গা। অনেকখানি।’

গোটা পৃথিবী গুঁজে দেওয়ার কথা বর্ণনা করে শ্রীজাত লেখেন, ‘এইবার তুমি যোনির মধ্যে রড ঢোকালে। তারপর স্টোন চিপস। তারপর ট্রাক। তারপর হোটেল। তারপর পেট্রোল পাম্প। তারপর শপিং মল। তারপর জাহাজ বোঝাই বন্দর। তারপর বিমানপোত। তারপর মহাসমুদ্র। তারপর হাতের মুঠোয় চেপে ধরে ঠেসেঠুসে গোটা পৃথিবীটা তুমি গুঁজে দিলে সেখানে।’

শ্রীজাত তার লেখায় বিস্ময় প্রকাশ করে লেখেন, ‘কিন্তু কী আশ্চর্য, তোমার কৌতূহলী মন তাতেও শান্ত হলো না। শেষমেশ ব্যাপারটা কী, বুঝে নিতে তুমি নিজেই ঢুকলে ভেতরে। মাথা, বুক, কোমর, হাঁটু, পা। এইভাবে পুরোটা ঢুকে গেলে। ন’মাস পর তদন্ত সেরে যখন বেরিয়ে এলে, ডাক্তারের হাত, টেনে বার করল তোমাকে।’