আজ শনিবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ২টায় সিলেট নগরের চৌহাট্টা এলাকায় সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে বিএনপির গণসমাবেশ। সকাল থেকেই বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেছেন। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) রাতে সমাবেশের মাঠে নির্ঘুম রাত কাটানো হাজারো নেতাকর্মীতো আছেনই। সমবেত গান ও স্লোগানে রাত কাটিয়েছেন তারা।
সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শুক্রবার রাতেই সিলেটে পৌঁছেছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সেলিমা রহমান সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন।
থ্রি-হুইলারসহ প্রশাসনের হয়রানি বন্ধের দাবিতে সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে চলছে পরিবহন ধর্মঘট। কিন্তু এই ধর্মঘট সমাবেশে আসতে নেতাকর্মীদের জন্য বাধা হতে পারছে না। নানা উপায়ে তারা জড়ো হচ্ছেন সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে।
বিএনপির এক কট্টর সমর্থক মাহতাব উদ্দিন বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনি বিছনাকান্দি থেকে সিলেটে পৌঁছেছেন। সরকার পতন আন্দোলনে তার সমর্থন আছে, এটা বোঝাতেই সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম (৪৭) জানান, গতকাল রাত ৯টার দিকে ৪৫ নেতাকর্মীসহ তিনি সমাবেশস্থলে এসেছেন। রাতটা এখানেই কাটিয়েছেন। সমাবেশ শেষে আজ বাড়ি ফিরবেন।
সমাবেশস্থলে আসা নেতাকর্মীরা সোচ্চার কণ্ঠে বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। মানুষ ভোটাধিকারও হারিয়ে ফেলেছে। দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের মামলা, হামলা ও গ্রেপ্তারের মাধ্যমে হয়রানি করা হচ্ছে। স্বাধীনভাবে মানুষ মুখ ফোটে সত্য কথা বলতে পারে না। এসব কারণে বিএনপি নেতাকর্মীদের পাশাপাশি অনেক সাধারণ মানুষও এখন বিএনপির গণসমাবেশে অংশ নিচ্ছে।
এদিকে সকাল থেকে সমাবেশস্থলের আশপাশের এলাকাসহ নগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেখা গেছে। নগরের চৌহাট্টা, রিকাবীবাজার, লামাবাজার, পুলিশ লাইনস, দরগাগেট ও মদিনা মার্কেট এলাকায় পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
সিলেট মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ সিলেট মহানগরের ছয় থানায় ১৯টি তল্লাশিচৌকি নিরাপত্তার দায়িত্বে কাজ করবে। এছাড়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। পুলিশ মহানগরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। যে কোনো ধরনের নাশকতা, অপতৎপরতা ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ সতর্ক আছে।