ধনকুবেরের তালিকায় শীর্ষস্থান হারিয়েছেন মাস্ক

ইলন মাস্ক এখন আর বিশ্বের শীর্ষ ধনী নন।  টেসলার শেয়ার দ্রুত পতনের পর তিনি তার শীর্ষস্থান হারিয়েছেন।  বিলাসদ্রব্যের খুচরা বিক্রেতা এলভিএমএইচ গ্রুপের সিইও ফরাসি ব্যবসায়ী বার্নার্ড আর্নল্ট মাস্ককে পেছনে ফেলে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি হয়েছেন।  ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদন এ তথ্য দেয়।

৭৩ বছর বয়সী এই ফরাসি ব্যবসায়ী প্রায় চার দশকের প্রচেষ্টায় নিজেকে বিলাসদ্রব্য সাম্রাজ্যের একমাত্র শাসক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

এলভিএমএইচ ফ্যাশন, গয়না, অ্যালকোহল বাজারে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত কিছু বিলাসবহুল ব্র্যান্ড।  এগুলোর মধ্যে রয়েছে লুই ভুটন, ট্যাগ হিউর, সেফোরা, ডম পেরিগনন, ক্রিশ্চিয়ান ডিওর, ফেন্ডি, গিভেঞ্চি, মার্ক জ্যাকবস, স্টেলা ম্যাককার্টনি, লোওয়ে, লোরো পিয়ানা, কেনজো, সেলিন, সেফোরা, প্রিন্সেস ইয়টস, বুলগারি, টিফানি অ্যান্ড কোং প্রভৃতি।

ফোর্বস জানিয়েছে, মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৭৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।  অন্যদিকে বার্নার্ড আর্নল্টের সম্পদের পরিমাণ এখন ১৮৮ বিলিয়ন ডলার।

বেশ কয়েক মাস আইনি প্রক্রিয়ার পর গত মাসে টুইটারের মালিকানা নেন মাস্ক।  সেখানে তিনি ৪৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছেন।

অনেকে মনে করছেন, টুইটার নিয়ে ঝামেলার কারণে টেসলার স্টক তীব্রভাবে কমে গেছে।  ফলে মাস্কের সম্পদের মূল্যও কমেছে। মাস্ক টুইটারের ১৪ শতাংশের মালিক।

অন্যদিকে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনার পর টেসলার গাড়ি বাজার থেকে তুলে নেয়ায় সরকারি তদন্তের ফলেও টেসলার শেয়ারের দাম পড়ে যায়।

একদিকে, টুইটার কেনার সময় মাস্ক টেসলার কোটি কোটি শেয়ার বিক্রি করেছেন।  অন্যদিকে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে টেসলার গাড়ি বিক্রি আরও কমবে বলে আশঙ্কা করছেন বিনিয়োগকারীরা।  এই দু’টি কারণ টেসলার মূল্য হ্রাসে দায়ী।