সরকার ভয় পেয়ে দেশজুড়ে আবারও গ্রেপ্তার শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, কোনোকিছুই আর আমাদের ঠেকাতে পারবে না। আমাদের সব অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী মাঠে নেমেছে তাদের অধিকার আদায়ে। ইতোমধ্যে বিভাগীয় গণসমাবেশে তার প্রমাণ পেয়েছে দেশবাসী।
আজ রোববার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, সরকার নিজেদের লোকজন দিয়ে বিএনপির শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশ ঠেকাতে ধর্মঘট ডাকে। আসলে পরিবহন মালিক সমিতির লোকজন নয়, ওরা আওয়ামী সমিতির লোক।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত বিভাগীয় সদরে গণসমাবেশে মানুষের ঢল দেখে প্রধানমন্ত্রী তার মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। তার কথাবার্তায় সৌজন্যবোধ দূরে থাক, ন্যূনতম রাজনৈতিক ভদ্রতাও নেই। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভায় তিনি জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান সম্পর্কে যে ধরনের বক্তব্য রেখেছেন- তা সম্পূর্ণরূপে সুরুচি ও শিক্ষার আলোকবঞ্চিত প্রতিহিংসাপরায়ণ বস্তির মানুষের পক্ষেই সম্ভব।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী অপকর্ম ঢাকতে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে যে কুৎসা রটান, সেটি জনগণ জানে। আপনি জনগণকে বোকা বানাতে চাইলেও জনগণ সঠিকটাই উপলব্ধি করে। আপনার সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে গণসমাবেশগুলোতে জনতার ঢল অভূতপূর্ব। সনাতন ধর্মাবলম্বীরাও ঢাক-ঢোল বাজিয়ে সমাবেশে যোগ দিচ্ছে।’
রিজভী বলেন, গুম আর ক্রসফায়ার শব্দ দু’টি জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার আমলে কেউ শুনেছে বলে আমার জানা নেই। আসলে শেখ হাসিনা জনগণের প্রধানমন্ত্রী নন। তিনি আওয়ামী দুষ্কৃতিকারীদের প্রধানমন্ত্রী। র্যাবকে গেষ্টাপো বাহিনীর মতো বানিয়েছে। আজ দেশের তরুণ-যুবকরা সবচেয়ে বেশি ভয়ের মধ্যে সময় পার করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- ‘আমরা যুবকদের কর্মসংস্থান করেছি, তারা হত্যা করেছে’। অথচ বাংলাদেশ এখন বেকারের কারখানা, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেকারের সংখ্যা বাংলাদেশে। শিক্ষিত বেকাররা চাকরি না পেয়ে আত্মহত্যা করছে। আসলে শেখ হাসিনা চান, সারাদেশে একটা ভয়ের বার্তা দিতে। যে কারণে তরুণ যুবকদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণে অসংখ্য বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও এ সময় জানান তিনি।