সারাদেশে এবার কমবেশি সাড়ে ৩১ হাজারের বেশি পূজামণ্ডপে পূজা উদযাপন করা হবে। এসব মণ্ডপে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করার সুযোগ নেই। পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা দিতে প্রতিটি উপজেলা, জেলা ও পুলিশ হেডকোয়ার্টারে কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম।
সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ময়নুল ইসলাম বলেন, সংখ্যাটা কমবেশি হতে পারে, এবার প্রায় সাড়ে ৩১ হাজার পূজামণ্ডপে পূজা উদযাপন হবে। এসব পূজামণ্ডপে অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। পূজার আগে আমরা প্রতিটি জায়গায় টহল বাড়িয়েছি। ইতোমধ্যে আনসার ও ভিডিপি মোতায়ন করা হয়েছে। বোধন এবং ষষ্ঠীপূজা থেকে সকল পূজামণ্ডপে আনসার ও ভিডিপি দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য মোতায়ন আছে তারাও পূজার দায়িত্ব পালন করবেন। আমাদের মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স সবসময় কাছাকাছি দূরত্বে থাকবে। আনসার বাহিনীর সঙ্গে ভলান্টিয়ার রয়েছে তারাও কাজ করছে। এতে করে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা বা অপতৎপরতার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক্স বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কেউ যেন মিথ্যা প্রচারণা ও গুজব ছড়াতে না পারে সেই ব্যবস্থা আমাদের চালু আছে। ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারও (এনটিএমসি) কাজ করছে।
দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় জেলা-উপজেলায় কন্ট্রোল রুম চালু : আইজিপি
‘সবার সঙ্গে পরামর্শ করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন ঘোষণা হবে’
পূজামণ্ডপ কম বেশি হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতিবছরই পূজামণ্ডপ কম বেশি হয় বিভিন্ন কারণে। এবার কিন্তু ঢাকায় পূজামণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে। পূজামণ্ডপের সঙ্গে অন্য কোন কিছু জড়িত না। যেসব পূজামণ্ডপে আমাদের কাছে ঝুঁকি মনে হয়েছে, সেসব পর্যায় মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা রাখা হয়েছে। কিন্তু সব জায়গায় এটি করা সম্ভব হয়নি। এটা নিয়ে শঙ্কার কিছু নেই।