দুই কিডনিই নষ্ট, বাঁচতে চাই বকুল

দুই কিডনিই একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে ৪৭ বছর বয়সী বকুল মিয়ার। কখন যে মরণ অসুখ বাসা বেঁধেছে তার কিডনিতে টের পাইনি। যখন পরিবারের লোকজন জানতে পারলো তখন ১ ছেলে সন্তান রেখেই স্ত্রী তালাক দিয়ে চলে গেলে নিঃস্ব হয়ে পরে বকুল মিয়া। তখন তার আর কষ্টের সীমা থাকেনা। এরপর অসহায় বকুল মিয়াকে দেখাশুনা করেন তার ৬২ বছরের বৃদ্ধা মা নূরুন্নাহার।

অনেক কষ্টে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে হাত পাতিয়ে ৬ বছর ধরে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন বকুল । বেশকিছুদিন হলো খুব অসুস্থ হয়ে বগুড়া টিএমএসএস হাসপাতালে ভর্তি আছেন। যত সময় যাচ্ছে তার ঝুঁকি ততই বাড়ছে ।

এখন আর বিছানা থেকে উঠতে পারছেনা। চিকিৎসক পরামর্শ দিয়েছেন, নিয়মিত সপ্তাহে ২ দিন কিডনি ডায়ালাইসিস করতে হবে এবং পারত পক্ষে দ্রুত কিডনি প্রতিস্থাপন করাটাও জরুরি । তবে, কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হলে ১৫ লক্ষাধিক টাকার প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে খুব দেরি করলে মারাও যেতে পারে বুকুল মিয়া। তার দুচোখে মুঠো ভরা স্বপ্নর বদলে এখন শুধুই মৃত্যুর বিভীষিকা।

তাকে চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যেতে চান। পরিবারের সামর্থ্য নেই এত অর্থ ব্যয় করে তাকে বাঁচিয়ে রাখার। তারপরও তার পরিবারের চেষ্টার কমতি নেই।

সপ্তাহে ২ দিন কিডনি ডায়ালাইসিস করতে হচ্ছে বকুলকে। এতে সবমিলিয়ে প্রাই প্রতিদিন ৩ হাজার টাকা খরচা হচ্ছে। বৃদ্ধা মা ও ছোট এক সন্তান নিয়ে তার পরিবার। এত খরচা করা কোন ভাবেই তার পরিবারের পক্ষথেকে সম্ভব নয়। ধীরে ধীরে তার সবকিছু বিকল হয়ে পড়ছে। বকুলের তীব্র আকুতি এখন বেঁচে থাকার।

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের বাসুড়া গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের সন্তান বকুল মিয়া।

বকুল মিয়া বলেন, ” আমি একমাত্র পরিবারের উপার্জনকারী । গত ৬ বছর ধরে মরন ব্যধি কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে পরেছি। জীবন বাঁচানোর তাগিদে কষ্ট হলেও প্রতিনিয়ত মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে হাত পাতিয়ে চিকিৎসা চালাইছি। এখন বেশকিছুদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আছি। টাকা যা ছিল তা সব শেষ। টাকার অভাবে চিকিৎসা নিতে পারছিনা।দিন দিন আমার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হচ্ছে। ছোট্ট সন্তানের জন্য বেঁচে থাকার আকুতি জানিয়ে সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যর আবেদন করেন বকুল মিয়া”।

বকুল মিয়ার মা নূরুন্নাহার বলেন,এক টিনের বাড়ি ছাড়া আমার সহায় সম্বল টাকা-পয়সা কিছুই নেই। ছেলের দুটি কিডনি সম্পূর্ণ বিকল হয়ে পরাতে ছেলের সাথে আমাদেরও দুঃখ কষ্টে দিন কাটছে । এই মুহূর্তে ছেলের চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে না। ঠিকমতো খাবারে কিনতে পারিনা আর সেখানে চিকিৎসার টাকা জোগাড় করবো কিভাবে বলে কেঁদে ফেলেন তিনি। সন্তানকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান, দানশীল ব্যক্তি ও প্রবাসীদের সাহায্য কামনা করেন মা নূরুন্নাহার।

বকুল মিয়ার নিম্নাক্ত মোবাইল নাম্বারে বিকাশ/নগদে সাহায্য পাঠাতে পারেন:-
০১৭৪০-৫৫৬২৫৪