দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় নিহত বেড়ে ৩১

ভারী বর্ষণের কারণে ভয়াবহ অবস্থা দেখা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। রোববার টানেলের নিচে আটকে পড়া আরও পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এতে বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে।ৎ

এ ঘটনায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দেশটির অনেক এলাকা। দেশজুড়ে অবকাঠামোগত অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। বন্যার কারণে বিভিন্ন টানেলে অনেক গাড়ি আটকা পড়েছে। উদ্ধারকারীরা টানেলে আটকে থাকা গাড়ির কাছে পৌঁছাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।

দেশটির নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃষ্টিপাতের কারণে প্রায় ৫ হাজার ৫৭০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। শনিবার সকালে উত্তর চুংচেওং প্রদেশের গোয়ান বাঁধ প্লাবিত হওয়ার পর হাজার হাজার মানুষকে বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, ইউক্রেন সফররত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইয়োল প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সোকে দুর্যোগ মোকাবেলায় সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী কর্মকর্তাদের নদীর ওভারফ্লো এবং ভূমিধস প্রতিরোধের আহ্বান জানান এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে উদ্ধার অভিযানে সহায়তার অনুরোধ করেন।

অপরদিকে, কোরিয়ার আবহাওয়া প্রশাসন ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করে বলেছে। আগামী সপ্তাহের বুধবার পর্যন্ত আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে দেশটিতে, যা পরিস্থিতি ‘গুরুতর’ করে তুলছে।

এই সময়টাতে দক্ষিণ কোরিয়ায় নিয়মিত বন্যার কবলে পড়ে। তবে দেশটি সাধারণত ভালোভাবে প্রস্তুত থাকে এবং মৃত্যুর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম থাকে।

গত বছরও রেকর্ড ভাঙা বৃষ্টিপাত এবং বন্যার ধকল গেছে দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর দিয়ে। যার ফলে ১১ জনেরও বেশি লোক মারা গিয়েছিল।

এমএইচএফ