উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আবারও বাড়তে শুরু করেছে তিস্তার পানি। এতে প্লাবিত হচ্ছে নীলফামারী ও লালমনিরহাটের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল। এতে বন্যার আশঙ্কা করছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা। প্রবল পানির চাপে ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে রাখা হয়েছে।
জনা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে তিস্তা ব্যারাজপয়েন্টে পানি বিপৎসীমা ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। পরে একই দিন সকাল ৯টায় তিস্তা ব্যারাজের দোয়ানী পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার, যা বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)।
পানির পনির মাপ নুরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তিস্তা পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সকাল থেকে পানি বৃদ্ধি পেলেও দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি কমতে শুরু করেছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, জুন-জুলাই মাসজুড়ে তিস্তার পানি বাড়া-কমার মধ্যে ছিল। কয়েক সপ্তাহ ধরে পানি কম থাকলেও গতকাল রাত থেকে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। আজ সকাল ৯টায় নদীর পানি ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে সকাল ৬টায় ওই পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে রাখা হয়েছে। দুপুরের দিকে পানি কমে যেতে পারে।
এমএইচএফ