ডেঙ্গু মোকাবেলায় এবার আটঘাট বেঁধেই মাঠে নামছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। আগামী ১০০ দিন নগরজুড়ে ক্রাশ প্রোগ্রাম চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।
বুধবার (২২ জুন) সকালে চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজের সামনে শততম দিনের এ ‘মশক নিধন ক্রাশ প্রোগ্রাম’ উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
মেয়র বলেন, আমি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি গবেষণাদল গঠন করি। উনাদের বিজ্ঞানভিত্তিক পরামর্শের আলোকে বিমানবাহিনী থেকে আগামী পাঁচ মাসের জন্য মশা নিধনের ওষুধ মজুদ করা হয়েছে। আমরা ৫৭ টি হটস্পটসহ ৪১টি ওয়ার্ডে ১০০ দিনব্যাপী ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিচালনা করব।
‘চসিকের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের পাশাপাশি দেশ হাজার আরবান ভলান্টিয়ার এবং রেড ক্রিসেন্টের কর্মীরা এ ক্রাশ প্রোগ্রামকে সফল করতে কাজ করবেন। অনেকে ছাদ বাগান করলেও ফুলের টবসহ বিভিন্ন জায়গায় জমে থাকা পানি পরিষ্কার করেননা আবার কর্মীরা গেলেও পরিষ্কার করতে দেন না। এ অবস্থা প্রতিরোধে প্রয়োজনে ড্রোন কিনে ছাদ পর্যবেক্ষণ করে জরিমানাসহ শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয়া হবে৷
উদ্বোধনের পর সাধারণ মানুষের হাতে সচেতনতামূলক লিফলেট তুলে দেন মেয়র।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার শামীম এহসান বলেন, এবছর ডেঙ্গুতে যে কজন রোগী মারা গেছেন তারা সবাই হাসপাতালে একদম শেষ পর্যায়ে ভর্তি হতে এসেছিলেন৷ অথচ অসুস্থতার প্রাথমিক পর্যায়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে হয়তো তাদের বাঁচানো যেত। একারণে জনগণের প্রতি আহবান আপনারা ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হোন, চিকিৎসা নিন, সুস্থ থাকুন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার জোর দেন সচেতনতার উপর। তিনি বলেন, সবাই ঘরের আশেপাশে মশা জন্মানোর মতো স্থান থাকলে তা পরিষ্কার করুন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান, চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, চলতি বছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আক্রান্ত হয়েছে ৩৪০ জন। শুধুমাত্র চলতি মাসেই আক্রান্ত হয়েছে ১২৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। এর আগে গত ৪ জুন নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।