ডেঙ্গুতে মৃত্যুর নতুন রেকর্ড—চলতি আগস্টেই গেল বছরের চেয়ে বেশি মৃত্যু

চলতি মাস আগস্টের ২৬ দিনেই এবার দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে। গত ২৬ দিনেই ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ২৮৬ জনের, যা এর আগে এক বছরে ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা থেকেও বেশি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ২০০০ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৯৩ জনের মৃত্যু হয়। ২০০১ সালে ৪৪ জন, ২০০২ সালে ৫৮ জন, ২০০৩ সালে ১০ জন, ২০০৪ সালে ১৩ জন, ২০০৫ সালে চারজন এবং ২০০৬ সালে ১১ জন মারা যায়।

২০০৭ সালে থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রন্ত হয়ে কেউ মারা যাননি। ২০১১ সালে ছয়জন, ২০১২ সালে একজন, ২০১৩ সালে দুইজনের মৃত্যু হয়। ২০১৪ সালে কেউ মারা যায়নি। ২০১৫ সালে ছয়জন, ২০১৬ সালে ১৪ জন, ২০১৭ সালে আটজন, ২০১৮ সালে ২৬ জন। ২০১৯ সালে ১৭৯ জন, ২০২০ সালে চারজন, ২০২১ সালে মারা যায় ১০৫ জন।

২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ২৮১ জনের মৃত্যু হয়, যা ছিল দেশে এক বছরে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে থেকে জানা যায়, চলতি বছরের শনিবার (২৬ আগস্ট) পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৫৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরের গত জুলাই মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ২৫১ জন। অর্থাৎ গত ২৬ দিনেই ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ২৮৬ জনের, যা এক বছরে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ মৃত্যু থেকেও বেশি।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে বর্তমানে চার ধরনের ডেঙ্গুর প্রকোপ রয়েছে; ডেন-১, ডেন-২, ডেন-৩ এবং ডেন-৪। এক ধরনের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে পরবর্তী সময়ে সেই নির্দিষ্ট ধরনের বিরুদ্ধে দেহ স্বাভাবিকভাবে প্রতিরক্ষা গড়ে তোলে। কিন্তু অন্য আরেকটি ধরনের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে তখন ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বাড়ে। তখনই রোগীর মধ্যে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার বা ডেঙ্গুজনিত রক্তক্ষয়ের ঘটনা ঘটে।