ডিআইজি মিজানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড

দুদকের মামলা

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং আইনে দুদকের করা মামলায় ডিআইজি মিজানুর রহমানের ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২১ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম এ রায় ঘোষণা করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী জাহিদুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এ মামলায় ডিআইজি মিজান কারাগারে আটক রয়েছেন। জামিনে রয়েছেন তার ছোটভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগনে মাহমুদুল হাসান। তবে মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না শুরু থেকে পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।

এদিন রায় ঘোষণার সময় মিজানকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। এ ছাড়া জামিনে থাকা ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান আদালতে হাজির হন। এই তিনজনকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। আর মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার ওরফে রত্না রহমান পলাতক।

গত ৫ জুন রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি-তর্ক শুনানি শেষ হওয়ার পর রায় ঘোষণার জন্য ২১ জুন দিন ধার্য করেন আদালত।

২০২০ সালের ২০ অক্টোবর একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। প্রায় আড়াই বছর পর গত ১২ এপ্রিল মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

এরপর গত ১৪ মে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় তিন আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান।

২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।

২০২০ সালের ১ জুলাই শাহবাগ থানা পুলিশ মিজানকে গ্রেফতার করে। পরদিন জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান আদালত।

এমএইচএফ