ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় সাত দিনে ক্ষতি ১৮ কোটি

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে নাশকতার কারণে এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর স্বল্প দূরত্বে সীমিত পরিসরে কিছু যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের কথা থাকলেও ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) কারফিউ শিথিল থাকা অবস্থায় চট্টগ্রাম থেকে শুধু নাজিরহাটগামী ট্রেন চলাচলের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা পিছিয়ে যায়।

তবে জ্বালানি তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ নিরাপত্তায় চালানো হচ্ছে তেল পরিবহনের ট্রেন। বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) আওতাধীন ডিপো ও কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ট্রেনযোগে জ্বালানি তেল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবির জানান, দূরপাল্লার ট্রেন চালুর বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। যেহেতু অনলাইন টিকেটিং সিস্টেম, সে কারণে ইন্টারনেটের গতিরও একটা ব্যাপার আছে।

আন্দোলনের মধ্যে গত ১৬ জুলাই বিভিন্ন এলাকায় রেলপথ অবরোধ করা হয়। এতে কয়েক ঘণ্টার জন্য ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। ১৭ জুলাই ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও ১৮ জুলাই থেকে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির কারণে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় গত এক সপ্তাহে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ১৮ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।

রেলওয়ে পাহাড়তলীর নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তেলের ডিপোগুলোতে মজুত কমে আসায় গত মঙ্গলবার ট্রেনের ট্যাংকারে করে জ্বালানি তেল সরবরাহ শুরু হয়। প্রথমদিন পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলের ডিপোগুলো থেকে ৫টি ট্রেনে তেল সরবরাহ করা হয়। সিলেট, শ্রীমঙ্গল ও রংপুরে তিনটি ট্রেনে তেল নিয়ে যাওয়া হয়। চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও দোহাজারীতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য দুটি ট্রেনে তেল নিয়ে যাওয়া হয়।

বুধবার (২৪ জুলাই) সিলেটে ডিপো ও হাটহাজারীতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য দুটি ট্রেনে জ্বালানি তেল নিয়ে যাওয়া হয়।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অধীনে চট্টগ্রাম থেকে আন্তঃনগর ট্রেন, মেইল ট্রেন, কমিউটার ট্রেন, পণ্যবাহী ট্রেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন, চট্টগ্রাম গুডস পোর্ট ইয়ার্ড (সিজিপিওয়াই) থেকে পাঁচটি পণ্যবাহী ট্রেনসহ ৫৭টি ট্রেন চলাচল করে।

একদিন ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলে পূর্বাঞ্চলে গড়ে ৩ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়।