টঙ্গীতে প্রতিবন্ধী যুবতিকে হাত পা ও মুখ বেঁধে নির্যাতন করে হত্যা

টঙ্গীর গাজী বাড়ি পুকুর পাড় এলাকায় রাবেয়া সাবরিন লিখন(২৫) নামে এক প্রতিবন্ধী যুবতীকে হাত পা ও মুখ বেঁধে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। নিহত যুবতী সমাজ কল্যান মন্ত্রণালয়ের অধীন টঙ্গী শারিরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাষ্ট- এ কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকীর করতেন। আজ সোমবার(১৯ মে) সকাল সাড়ে ৬ টা থেকে সাড়ে ৯ টার মধ্যে টঙ্গীর উত্তর আরিচপুর গাজী বাড়ি পুকুর পাড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত সাবরিন লিখন পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানার উত্তর পটখালি গ্রামের সেলিম হাওলাদারের মেয়ে। তিনি টঙ্গীর গাজী বাড়ি পুকুর পাড়ের উত্তর- পশ্চিম পাড়ে জনৈক গোলাম মোস্তফার মালেক মঞ্জিলের দোতলায় একটি রুমে ভাড়ায় থাকতেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রতিবন্ধী যুবতী সাবরিন লিখন একটি রুমে একাই থাকতেন। অবিবাহিত হওয়ায় একা থাকলেও মাঝে মধ্যে তার মা বাসায় আসতেন। লিখন সকালে ঘুম থেকে উঠে ৬ টার দিকে রান্না করে খেয়ে ৮ টার দিকে অফিসে যেতেন। প্রতিদিনের মত আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে সাড়ে ৬ টার দিকে রুমের বাইরে গণরান্না ঘরে রান্না বসায়। সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে লিখনের রুমের বিপরীতে থাকা ভাড়াটিয়া সাদিয়ার কাছে বাড়ির মালিক গোলাম মোস্তফা ভাড়ার জন্য আসেন। এসময় সাদিয়ার স্বামী গার্মেন্টসে ছিলেন। মোস্তফা সাদিয়ার কাছে ভাড়া চাইতে গেলে সাদিয়া বাড়ির মালিককে জানায়, লিখনের রুমে বাইরে থেকে আটকানো ও রুমের বাইরে গণরান্নাঘরে খিচুড়ি পোঁড়ার গন্ধ আসছে। এসময় বাড়ির মালিক গোলাম মোস্তফা ও পাশের ভাড়াটিয়া সাদিয়া লিখনের রুম আটকানো সিটকারী খুলে দেখেন, লিখন হাত পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় উপুর হয়ে পড়ে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে জানায়, লিখনকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মেয়েটির হাত পা বাঁধা ও খাটে উপুর হয়ে পড়ে আছে। ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় আছে। রুমের অবস্থা দেখে ধস্তাধস্তির আলামত পাওয়া যায়। ভিকটিমের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাস্থলের বিপরীতে থাকা ভাড়াটিয়া সাদিয়া আক্তার জানান, বাড়ির মালিক তার কাছে ভাড়ার জন্য আসলে লিখনের রুম বাইরে থেকে বন্ধ ও রান্না ঘরে খিচুড়ি পোঁড়ার কথা জানান। এরপর মালিক ও সাদিয়া রুম খুললে লিখনকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় খাটে উপুর হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন। বাড়ির মালিক গোলাম মোস্তফা বলেন, ভাড়ার জন্য এসে তিনি এই খবর পান। দরজা খোলে দেখেন লিখন মৃত। টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, আলামত বলছে, প্রতিবন্ধী লিখনকে হাত পা ও মুখ বেঁধে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। ধর্ষন করা হয়েছে কি না তা ময়না তদন্তের পর জানা যাবে বলে জানান তিনি।