কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার রাজাখালীর মাতবর পাড়ার স্থানীয় কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যাক্তির সহযোগিতায় আবুল কলাম (বাহাদু) নামের এক ব্যাক্তি রফিকুল হক এর ৩ বিঘা জমিতে জোর জবরদস্তি করে খুঁটি গেঁড়ে বর্গাচাষীকে জমি থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে উঠিয়ে দেয়। ভুক্তভুগি রফিকুল হক আবুল কালাম এবং অঙ্গাতনামা আরো ৬/৭ জনকে আসামি করে তাদের বিরুদ্ধে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩ এর ৪ (ক) (৫) / ৮ (২) / ৯ / ৪/১০/২০ ফৌজদারী দরখাস্ত দায়ের করেন। অভিযোগকারীর অভিযোগের বিষয় আমলে নিয়ে এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দেন।
৯ জুলাই বুধবার পেকুয়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত করতে আসেন। এসময় অভিযুক্ত আবুল কালাম স্থানীয় সন্ত্রাসী নিয়ে ঘটনাস্থলে আগে থেকেই অবস্থান নেয়। তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত শেষে যার যার প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রাদিসহ থানায় সালিশি বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেয়। উল্লেখ্য যে, পিতার মৃত্যুর ভাইবোন ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হয়ে বণ্টননামা মূলে সবাই দীর্ঘদিন যাবৎ শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখলে করে আসতেছে। জমির অংশীদার ভাইয়েরা ঢাকা শহরে চাকুরীরত থাকায় অন্য এক ভাই রফিকুল হক জমি সংরক্ষণ, দেখাশুনা ও লাগিয়ত করে আসতেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়. উক্ত জমি খাজনা অনাদায়ের কারণে ১৯৫৮ সালে সরকার নিলাম ঘোষণা করেন। সেই আলোকে ১৯৬০ সালে ৩৮ নং মানিজারী মোকদ্দমার ডিক্রি মূলে কক্সবাজার মুন্সেফ আদালত থেকে ছিদ্দিক আহমদ উক্ত জমি নিলাম খরিদ ক্রয় করেন। নিলাম খরিদ্দার ছিদ্দিক আহমদ উক্ত জমি ১৯৭০ সালে টাকার প্রয়োজনে বাদীর পিতা রমিজ আহমদ কে বিক্রয় করে দখল হস্তান্তর করেন। খরিদ মালিক রমিজ আহমদের নাম লিপি করাইয়া দেন এবং তা বি.এস ১৩৫০ নং খতিয়ান ভুক্ত হয়। রমিজ আহমদ আহমেদের মৃত্যু ঘটলে তার সন্তানরা ওয়ারিশ সূত্রে এই জমির মালিকানা পায়। বাদী রফিকুল হক এবং তার ভাইয়ের নিরহ প্রকৃতির হওয়ায় বিবাদী আবুল কালাম (বাহাদু)’র ভয়ে নিরাপত্তা হীনতায় দিন কাটাচ্ছে বলে জানিয়েছে। বিবাদী ভূমিদস্যু। সে দেশের প্রচলিত আইন কাননের তোয়াক্কা না করে জোর করে জমি দখলের চেষ্টা করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য ভাইদের মধ্যে তিনজনই সাংবাদিকতা পেশার সাথে জড়িত। বড় ভাই একটি জাতীয় দৈনিকের নির্বাহী সম্পাদক, অন্য দুজন যথাক্রমে চ্যানেল আই এবং অন্য একটি জাতীয় দৈনিকের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত। ন্যায় বিচারের, জীবনের নিরাপত্তা সুষ্ঠু তদন্ত আশা করছেন বলে বাদী পক্ষ জানিয়েছেন।