নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি চট্টগ্রাম জেলা কমান্ডারসহ চার আসামীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহন শেষ হয়েছে। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁইয়ার আদালতে এই মামলাটি বিচারকার্য চলছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন আকবর শাহ থানার সাব ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ সোলায়মানকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেন। তিনি বর্তমানে লক্ষীপুর জেরার কমল নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই মামলায় সাক্ষ্য দিতে সোমবার তিনি তার কর্মস্থল থেকে চট্টগ্রামে আসেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে নগরীর আকবর শাহ থানার এন আর স্টিল মিলের সামনে থেকে বোমা ও বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধারের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়। আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওই বছরের ১৫ মার্চ এন আর স্টিল মিলের সামনে স্থানীয় জনৈক ওয়াসিমের ভাড়া বাসায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির একটি গোপন সভা চলছিল। নগরীতে নাশকতা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে জঙ্গিরা এই সভায় মিলিত হয়েছিল।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আকবর শাহ থানা পুলিশের একটি দল উক্ত বাসাটিতে অভিযান চালিয়ে এরশাদ নামে এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার নিকট থেকে জিহাদি বই, বেশকিছু বোমা তৈরির সরঞ্জাম এবং বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করে। পুলিশের অভিযান টের পেয়ে অন্যান্য জঙ্গিরা পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় আকবর শাহ থানার এস আই শহীদুর রহমান বাদী হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এতে এরশাদকে প্রধান আসামি এবং অন্য আরো দুই তিনজনকে আসামী করা হয়।
আরো জানা গেছে, ২০১৫ সালে শেষদিকে নগরীর কর্ণফুলী থানায় দায়ের হওয়া তিনটি পৃথক মামলায় বুলবুল আহমদ সরকার, মাহবুবুর রহমান খোকন ও মো. সুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তাদেরকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
২০১৬ সালে ৮ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও সন্ত্রাস বিরোধী আইনে আদালতে পৃথক সম্পূরক চার্জশিট জমা দেন আকবর শাহ থানার এস আই সোলায়মান। এই চার আসামির বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর আদালতে বিস্ফোরক আইনের মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়।
অতিরিক্ত পিপি মোহাম্মদ নোমান চৌধুরী রাস্ট্রের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন। তাকে সহযোগিতা করেন এডভোকেট মো. আবু ঈসা।