জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির বিরূপ প্রভাবে বেড়ে চলেছে মূল্যস্ফীতি। তবে জুন মাসে মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ হয়েছে। গত মে মাসে মূল্যস্ফীতি গড়ে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ হয়েছিল, যা ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে, ২০১১ সালের মে মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ২ শতাংশ।
সোমবার (৩ জুলাই) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
মূল্যস্ফীতির অর্থ হলো ২০২২ সালের জুন মাসে দেশের মানুষ যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় পেয়েছিল, চলতি বছরের জুন মাসে তা কিনতে ১০৯ টাকা ৭৪ পয়সা খরচ করতে হয়েছে।
মে মাসে মূল্যস্ফীতি ছিলো ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। অর্থাৎ সে সময় ওই পণ্য বা সেবা কিনতে খরচ হয় ১০৯ টাকা ৯৪ পয়সা।
মে মাসের মূল্যস্ফীতি ছিল দেশের গত ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর চেয়ে বেশি ছিল ২০১১ সালের মে মাসে। সে সময় দেশে মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ২ শতাংশ।
বিবিএস জানায়, মে’তে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। গত এপ্রিলে তা ছিল ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
এপ্রিলের তুলনায় মে’তে খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির রেকর্ড হয়েছে। চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাকজাতীয় পণ্যের দর বাড়ায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে।
এবার বাসা ভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দাম সামান্য কমেছে। মে’তে এ খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ। জুনে সেটা কমে ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ হয়েছে।
ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশে। মার্চে তা আরও বেড়ে হয় ৯ দশমিক ৩ শতাংশ। তবে এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে। কিন্তু তা আশাব্যঞ্জক ছিল না।
ওই মাসে সার্বিক বা সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। স্বাভাবিকভাবেই মূল্য বাড়তে বাড়তে ক্রেতা নাগালের বাইরে গেছে সব নিত্যপণ্য।
এমএইচএফ