জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারীর ৩৬তম ২৬ শে আশ্বিন উরস্ শরিফ শুক্রবার

বাংলাদেশে প্রবর্তিত একমাত্র ত্বরিকা, বিশ্বসমাদৃত ত্বরিকা-ই-মাইজভাণ্ডারীয়ার উজ্জ্বল নক্ষত্র বিশ্ব অলি শাহানশাহ্ হযরত মাওলানা শাহ্ সুফি সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ)-এর ৩৬তম ২৬ শে আশ্বিন উরস্ শরিফ শুক্রবার(১১ অক্টোবর)মাইজভাণ্ডার শরিফ ‘দরবার-ই গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারী’র গাউসিয়া হক মন্জিলে উদযাপিত হচ্ছে।

বাদ ফজর রওজা শরিফ গোসল ও গিলাফ চড়ানোর মাধ্যমে উরস্ শরিফের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। রাত দশটায় কেন্দ্রিয় আলোচনা ও মিলাদ মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হবে। মাহফিলে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারী’র প্র-প্রপৌত্র, গাউসিয়া হক মন্জিলের সাজ্জাদানশীন, আওলাদে রাসূল হযরত আল্লামা শাহ্সুফি সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (মঃ)। উরস্ শরিফ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে উরস এন্তেজামিয়া কমিটি সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

এ উপলক্ষে গত ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার উপজেলা প্রশাসনের সাথে এক প্রশাসনিক সমন্বয় সভা গাউসিয়া হক মনজিল সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উরস শরিফ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা, দেশ-বিদেশ হতে আগত আশেক-ভক্ত ও জায়েরীনদের সুবিধার্থে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা, যানবাহন নিয়ন্ত্রণ ও আইন শৃংখলা রক্ষায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েনসহ মন্জিলের স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

উরস শরিফ উপলক্ষে ‘শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) ট্রাস্ট’এর গৃহীত ৮ দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ৬ষ্ঠ দিবসে ফটিকছড়ি উপজেলার এতিমখানাসমূহের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে একবেলা খাবার সরবরাহ করা হবে।

এছাড়াও আগামীকাল ১১ অক্টোবর শুক্রবার উপদেশমূলক, দিক-নির্দেশনা সম্বলিত প্রচার, নগরের মুরাদপুর হতে দরবার শরিফ গেইট পর্যন্ত বিটিআরটিসি’র দিনব্যাপী বাস সার্ভিস, বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা, অস্থায়ী টয়লেটের ব্যবস্থা এবং ১২ অক্টোবর শনিবার ভোর ৬টায় হযরত কেবলার রওজা শরিফ মাঠ হতে শান-ই আহমদিয়া গেইট পর্যন্ত পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ৮ দিনব্যাপী কর্মসূচি সমাপ্ত হবে।