চট্টগ্রামের খুলশী থানায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এসপি নাইমা সুলতানার করা মামলায় জামিন পেয়েছেন পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের বাবা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া ও ভাই হাবিবুর রহমান লাবু।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জহিরুল কবির শুনানি শেষে তাদের জামিনের আদেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী গোলাম মওলা মুরাদ জানান, আদালতে দুই আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে তাদের জামিন দিয়েছেন।
এ মামলার অপর দুই আসামির মধ্যে বাবুল আক্তারকেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন। অপর আসামি সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।
এর আগে গত বছরের ১৭ অক্টোবর রাতে চট্টগ্রাম নগরের খুলশী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর ইনচার্জ পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বাবুল আক্তারসহ অন্য আসামিরা মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র করছেন। এর অংশ হিসেবে ইউটিউবার ইলিয়াস হোসেনকে দিয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে ‘স্ত্রী খুন স্বামী জেলে খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে ফেসবুক ও ইউটিউবে ভিডিও প্রচার করছেন। ভিডিওতে যে বক্তব্য রয়েছে তার মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনার পর বাবুল আক্তার স্ত্রী হত্যায় পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। পরে বাবুল আক্তারের করা মামলায় স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে তারই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই।
গত বছরের ১২ মে বাবুল আক্তারের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পিবিআই। ওইদিনই বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় আরেকটি মামলা করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। এই মামলায় বাবুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ওইদিনই আদালতে পাঠায় পিবিআই। সেই থেকে কারাগারে আছেন বাবুল।
ইতোমধ্যে মিতু হত্যা মামলায় বাবুল আক্তারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পিবিআই।