সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতেই ক্ষমতা ছেড়ে সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করেছিলেন। কিন্তু সেদিন জাতীয় পার্টিকে লেভেল প্লেইং ফিল্ডে নির্বাচন করতে দেয়া হয়নি। পার্টির শীর্ষ নেতাসহ হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছিল। জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিল অনেকের ঘরবাড়ি। সেই থেকেই দেশে প্রতিহিংসার রাজনীতির শুরু হয়।
জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিরোধীদলীয় নেতার রাজনৈতিক কার্যালয়ে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব কথা বলেন।
রওশন এরশাদ বলেন, তার দল সব সময় নির্বাচনমুখি রাজনীতি বিশ্বাস করে। সে কারণেই দেশের সব ক্রান্তিকালে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেয়। আগামীতেও অনুষ্ঠেয় সব নির্বাচনে তার দল অংশ নেবে। তাই নেতাকর্মীদের সব বিভ্রান্তি ও ভেদাভেদ ভুলে দলীয় ঐক্য বজায় রাখার আহবান জানান তিনি।
পার্টির সিনিয়র নেতা ও সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা।
অনুষ্ঠানে সাবেক প্রতিমন্ত্রী গোলাম সারোয়ার মিলন ও সাবেক রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা রফিকুল হক হাফিজকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং অ্যাডভোকেট জাহিদ হাসান খান বিপুল ও নূরে হাফসাকে কেন্দ্রীয় সদস্য করা হয়।