জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত, জয় বাংলা শ্লোগান এবং বঙ্গবন্ধুর কালীক ভাবনা

স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর যে কথাটি ভাববার অবকাশ রয়েছে তা হলো জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলকে স্বাধীন ‘পূর্ব পাকিস্তান’ বা স্বাধীন ‘পূর্ব বাংলা’ নাম না দিয়ে ‘বাংলাদেশ’ নাম দিলেন কেন? প্রকৃত অর্থে যা ‘অখণ্ড বাংলা’কেই বোঝায়। আর কেনই বা তিনি ১৯০৫ সালের খণ্ডিত বাংলাকে এক করার জন্য লিখিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত ‘আমার সোনার বাংলা’কে বাংলাদেশের (পূর্ব বাংলার/পূর্ব পাকিস্তানের) জাতীয় সংগীত করলেন! কেন জাতীয় পতাকা থেকে বাংলাদেশের (সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের) মানচিত্র উঠিয়ে দিলেন! এর  যৌক্তিক কারণ কী? এর পক্ষে বঙ্গবন্ধুর তৎকালীন ভাবনার মূলে কি ছিল? এ প্রবন্ধে তার একটি তাত্মিক বিশ্লেষণ তুলে ধরা হলো।। এটি আমার ব্যক্তিগত মতামত।

 

বিশ্বে  ‘দেশ’ যুক্ত (কান্ট্রি) কোনো রাষ্ট্রের নাম নেই। রাষ্ট্র নিজেই একটি দেশ/কান্ট্রি। ইরান, ইরাক, বৃটেন, কুয়েত, বাহরাইন…। সবগুলোই এক একটি দেশ। শুধু বাংলাদেশই ব্যতিক্রম। সন্ধি বিচ্ছেদে ‘বাংলা’ নামক দেশ। আর বাংলা বলতে অখণ্ড বাংলাই। বৃটিশ ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম বাংলা। আজকের বাংলাদেশ ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের খণ্ডিত পূর্ব বাংলা।

 

পৃথিবীতে যেসব দেশ দ্বিধাবিভক্ত হয়েছে এর কোনোটারই মূল নাম পরিত্যাক্ত হয়নি। যেমন- কোরিয়া। উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া। ভিয়েতনাম- উত্তর ভিয়েতনাম, দক্ষিণ ভিয়েতনাম। জার্মানি- পূর্ব জার্মানি, পশ্চিম জার্মানি। ব্যতিক্রম বাংলাদেশ। পকিস্তান ভেঙে দুই টুকরো হয়ে এক অংশ পূর্ব পাকিস্তান হয়নি। পূর্ব বাংলাও হয়নি। মাওলানা ভাসানীর স্বাধীন ‘পূর্ব পাকিস্তান’ ঘোষণা সত্বেও শেখ মুজিবুর রহমান এর নাম দিলেন, ‘বাংলাদেশ’ (বাংলা নামক দেশ)।

 

উল্লেখ্য, আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ এবং দিল্লীর অধীন পশ্চিম বাংলা মুসলিমপূর্ব শাসনামলে বাংলা/বাংলাদেশ নামে পরিচিত ছিলো না। প্রারম্ভে এটি পুণ্ড্র, সৌম্য…ইত্যাদি নামে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যে এবং পরে গৌড়, উত্তর বঙ্গ, পূর্ববঙ্গ, দক্ষিণ বঙ্গ, বঙ্গাল নামে বিচ্ছিন্ন রাজ্যে পরিচিত ছিল। এসব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যের অধিবাসীদের নির্দিষ্ট জাতিত্বের ধর্মভিত্তিক আলাদা পরিচয় ছিলো। ছিলো একে অপরের সাথে যুদ্ধবিগ্রহে লিপ্ত। অতঃপর দিল্লীর সালতানাতের আমলে এসব অঞ্চল লখনৌতি, সাতগাঁও ও সোনারগাঁও নামে বিভক্ত ছিলো। কিন্তু স্বাধীন সুলতান হাজী ইলিয়াস শাহের শাসনামলে ১৩৫২ সালে তিনি সর্বপ্রথম লখনৌতি, সাতগাঁও এবং সোনারগাঁ জয়করে একক স্বাধীন রাজ্য গঠন করেন। এবং এর নাম দেন ‘বাংলা’। আর এর অধিবাসীদের ‘বাঙালি’ নামে অভিহিত করেন। তিনি নিজে ‘শাহ-ই-বাঙ্গালা’, ‘শাহ-ই-বাঙ্গালিয়ান’, এবং ‘সুলতান-বাঙ্গলা’ উপাধি গ্রহণ করেন। তাঁর আমলে থেকেই বাংলার অধিবাসীরা ‘বাঙালি’ নামে পরিচিত। সুতরাং বলার অপেক্ষা রাখেনা যে অখণ্ড বাংলা, বাংলাদেশ এবং বাঙালির জনক মুসলিম সুলতান হাজী ইলিয়াস শাহ। আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ এবং পশ্চিম বাংলার মূল মালিক, শাসক মুসলমান।

 

বিখ্যাত ঐতিহাসিক শ্রী রমেশ চন্দ্র মজুমদার স্বাধীন ‘বাংলাদেশ’ নাম স্বীকার করেননি। তাঁর মতে, “বর্তমানকালে যে ভূখণ্ড বাংলাদেশ বলিয়া পরিচিত… তার অতিরিক্ত অনেকস্থান এ প্রদেশের অন্তর্ভূক্ত ছিলো।…সুতরাং পরিবর্তনশীল রাজনৈতিক বিভাগের ওপর নির্ভর করিয়া কোন প্রদেশের সীমা ও সংজ্ঞা নির্ধারণ করা যুক্তযুক্ত নহে। মোটের উপর যে স্থানের অধিবাসীরা বা তাহার অধিকসংখ্যক লোক সাধারণত বাংলা ভাষায় কথা বলে তাহাই বাংলাদেশ বলিয়া গ্রহণ করা সমিচীন। এই সংজ্ঞা অনুসারে বাংলার উত্তর সীমার হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত কয়েকটি পার্বত্য জনপদ বাংলার বাইরে পড়ে। কিন্তু আসামের অন্তর্গত শ্রীহট্ট, কাছাড়, গোয়ালপাড়া এবং বিহারের অন্তর্গত পূর্ণীয়া, মানভূম, সিংহভূম ও সাঁওতাল পরগনার কতেক অংশ বাংলার অংশ বলিয়া গ্রহণ করিতে হয়।… আমরা এই বিস্তৃৃত ভূণ্ডকেই বাংলাদেশ বলিয়া গ্রহণ করিব” (বাংলাদেশের ইতিহাস- শ্রী রমেয়চন্দ্র মজুমদার)। বাংলাদেশ নাম দিয়ে পূর্ব ও পশ্চিম বাংলাকে এককরা হয়েছে। সুতরাং ‘বাংলাদেশ’ মানে ‘অখণ্ড বাংলা’ই।

 

১৯৪৭ সালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে ভোটে হারিয়ে খাজা নাজিমুদ্দিন সাহেব নেতা নির্বাচিত হয়েই ভারত পাকিস্তান ভাগ হওয়া মাত্রই ঘোষণা করলেন, ‘ঢাকা রাজধানী হবে’ এবং তিনি দলবলসহ ঢাকায় চলে গেলেন। একবার চিন্তাও করলেন না, পশ্চিম বাংলার হতভাগা মুসলমানদের কথা। এমন কি আমরা যে সমস্থ জিনিসপত্র কলকাতা থেকে ভাগকরে আনার কথা, তার দিকেও ভ্রুক্ষেপ করলেন না। ফলে আমাদের যা প্রাপ্য তাও পেলাম না।…কলকাতা বসে যদি ভাগবাটোয়ারা করা হত তাহলে কোন জিনিসের অভাব হত না। নাজিমুদ্দিন সাহেব মুসলিমলীগ বা অন্য কারোর সাথে পরামর্শ না করেই ঘোষণা করলেন ঢাকাকে রাজধানী করা হবে। তাতেই আমাদের কলকাতার উপর আর কোন দাবি রইল না।

 

এদিকে লর্ড মাউন্টব্যেটেন চিন্তাযুক্ত হয়ে পড়েছিলেন, কলকাতা নিয়ে কি করবেন? ‘মিশন উইথ মাউন্টব্যাটেন’ বইটা পড়লে সেটা দেখা যাবে। ইংরেজ তখনও ঠিক করে নাই কলকাতা পাকিস্তানে আসবে না হিন্দুস্তানে থাকবে। আর যদি কোন উপায় না থাকে তবে একে ‘ফ্রি শহর’ করা যায় কিনা?…..কলকাতা হিন্দুস্তানে পড়লেও শিয়ালদহ স্টেশন পর্যন্ত পাকিস্তানে আসার সম্ভাবনা ছিল। হিন্দুরা কলকাতা পাবার জন্য আরো অনেককিছু ছেড়ে দিতে বাধ্য হত। (অসমাপ্ত আত্মজীবনী– শেখ মুজিবুর রহমান)

 

এছাড়াও পূর্বপাকিস্তানে গভর্নর হয়ে আসতে অপারগতা জানানো এক ইংরেজকে মাউন্টব্যেটন যে চিঠি দিয়েছিলেন তাতে যে স্বাস্থ্যকর পাহাড়ি স্থানের কথা উল্লেখ করেছেন, তা যে দার্জিলিং একথা বলা বাহুল্য। অর্থাৎ দার্জিলিৎ আমরা পাবো। কিন্তু খাজা নাজিমুদ্দিন সাহেবের ঘোষণায় যখন গোলমালের কোন সম্ভাবনা থাকল না, মাউন্টব্যাটেন সুযোগ পেয়ে যশোর জেলার সংখ্যাগুরু মুসলমান অধ্যুষিত ‘বনগাঁ’ জংশন অঞ্চল কেটে নিলেন। মুর্শিদাবাদে মুসলমান বেশি কিন্তু সমস্ত জেলাই দিয়ে দিলেন হিন্দুস্থানকে। মালদহ জেলায় মুসলমান ও হিন্দু সমান সমান, তার আধা অংশ কেটে দিলেন। দিনাজপুরে মুসলমান বেশি, বালুরঘাট মহকুমা কেটে দিলেন যাতে জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং হিন্দুস্থানে যায় এবং আসামের সাথে হিন্দুস্থানে সরাসরি যোগাযোগ হয়। উপরোক্ত জায়গাগুলি কিছুতেই পাকিস্তানে না এসে পারত না। এদিকে সিলেট গণভোটে জয়লাভ করা সত্বেও মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ করিমগঞ্জ মহকুমা ভারতবর্ষকে দিয়েদিল। আমরা আশা করেছিলাম আসামের কাছাড় জেলা ও সিলেট জেলা পাকিস্তানের ভাগে না দিয়ে পারবেনা। আমার বেশি দুঃখ হয়েছিল করিমগঞ্জ নিয়ে। কারণ, করিমগঞ্জে আমি কাজ করেছিলাম গণভোটের সময়।…যে কলকাতা পূর্ববাংলার টাকায় গড়ে উঠেছিল সে কলকাতা আমরা স্বেচ্ছায় ছেড়েদিলাম।… কলকাতা পাকিস্তানে থাকলে পাকিস্তানের রাজধানী কলকাতায় করতে বাধ্য হত। (অসমাপ্ত আত্মজীবনী- শেখ মুজিবুর রহমান) মুসলমান সংখ্যগরিষ্ঠ সমস্থ অঞ্চল খোঁয়া যাওয়া, পোকায় খাওয়া পূর্বপাকিস্তানকে শেখ মুজিবুর রহমান মনপ্রাণে মেনে নিতে পারেননি।

 

১৯৭১ -এর ৭ই মার্চের আগেই মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী পল্টন ময়দানে স্বাধীন ‘পূর্ব পাকিস্তান’ দাবী করেছিলেন। কিন্তু  জারিজনক শেখ মুজিবুর রহমান ‘পূর্ব পাকিস্তান বা পূর্ব বাংলা’ নামকে বাদ দিয়ে ‘বাংলাদেশ’ নামকরণ করলেন। কিন্তু কেন? তাঁর মন মননে কি পাকিস্তান থেকে বাদপড়া বর্তমানের পশ্চিম বাংলার অন্তর্গত মুসলিম অঞ্চলগুলির চিন্তা কাজ করেছিলো? প্রশ্ন জাগে,বঙ্গবন্ধু ছয়দফা ঘোষণার সময় থেকেই ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় শ্লোগান হিসেবে ঘোষণা দিলেন কেন?

 

তিনি পুর্ব পাকিস্তান তথা পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসন অর্জনের জন্য, পরবর্তীতে পুর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন করারজন্য ‘জয় পূর্ব পাকিস্তান’ বা ‘জয় পূর্ব বাংলা’ শ্লোগান না দিয়ে ‘জয় বাংলা’ যা অবিভক্ত বাংলাকে বুঝায়, গ্রহণ করলেন কেন? তাহলে তিনি কি স্বাধীন বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত পশ্চিম বাংলার অংশগুলির একিভুত হয়ে বৃহত্তর বাংলার স্বপ্ন দেখতেন?

 

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানটি বিদ্রেহী কবির (বর্তমান বাংলাদেশের জাতীয়কবি কবি) একটি কবিতা এবং ‘বাঙালির বাংলা’ নামক প্রবন্ধ (১৯৪২) থেকে গ্রহণ করেছেন। এ প্রবন্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন,

‘এই পবিত্র বাংলাদেশ বাঙালির আমাদের,

দিয়া প্রহারেণ ধনঞ্জয় তাড়াবো আমরা,

করিনা ভয় যত পরদেশী দস্যু ডাকাত

রামাদের গামাদের।

বাঙালির জয় হোক। বাংলার জয় হোক।

বাংলা বাঙালির হোক।’

 

এখানে বাংলা, বাঙালি বলতে বৃহত্তর বাংলার কথাই কবি বলেছেন। সুতরাং ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান যে পূর্ব বাংলা কেন্দ্রিক নয়, তা অনুমান করা যায় না কী? বর্তমানে পশ্চিম বাংলা সরকারও ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান ব্যবহার করছেন। তাঁরা পশ্চিম বাংলা/পশ্চিম বংগকে সাংবিধানিকভাবে (বিধান সভা) ‘বাংলা’ নামকরণ করেছেন। প্রশ্ন উঠতে পাওে, পশ্চিম বাংলা (বাংলা) সরকার স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের জাতীয় শ্লোগান কেন ব্যবহার করছেন? হয়তো তার কারণ, স্বাধীন বৃহত্তর বাংলা হলে মূল শ্লোগান হবে ‘জয় বাংলা’। বঙ্গবন্ধু কী এ ব্যাপারে আগেই ভেবেছিলেন?

 

বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত নিয়ে একাধিকবার বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। আর এ বিতর্কের  প্রধান উপজীব্য ছিল জাতীয় সংগীতের জন্ম ইতিহাস। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের বিরোধীতা করে (পূর্ব ও পশ্চিম বাংল কে এক করতে) রচিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানটি তৎকালীন পূর্ব বাংলার তথা আজকের স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে বর্তমান বাস্তবতায় কতটুকু যৌক্তিক এবং একইসাথে বাংলার বিশাল একটি অংশ বাঙালি মুসলমানের কোন উল্লেখ না থাকাকে ঘিরে বিতর্ক আবর্তিত হলেও বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে সংবিধানে ‘আমার সোনার বাংলা’কে জাতীয় সংগীতরূপে অন্তর্ভূক্ত করেছেন। প্রশ্ন উঠতেই পারে জাতিরজনক কি স্বাধীন বৃহত্তম বাংলার স্বপ্ন দেখতেন? কারণ, স্বাধীন বৃহত্তম বাংলা হলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আমার সোনার বাংলা’ জাতীয় সংগীত হওয়া হবে শতভাগ পারপেক্ট।

 

এবার জাতীয় পতাকা প্রসঙ্গে আসা যাক। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা তৈরি করেছিলেন আওয়ামী লীগের অঙ্গ ছাত্র সংগঠনের নেতারা। এই পতাকায় রক্তিম গোলাকার বৃত্তের ভেতরে বাংলাদেশের (পূর্ব পাকিস্তানের) মানচিত্র অঙ্গন করেছিলেন। এই পতাকা ১৯৭১ এর ৩রা মার্চে ছাত্রনেতা আ স ম আবদুর রব বঙ্গবন্ধুর হাতে প্রদান করেছিলেন। পাকিস্তান দিবসে সারা দেশে, বিদেশি দূতাবাসসমুহে বাংলাদেশের মানচিত্র আঁকা পতাকা উত্তোলিত হয়েছিলো। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পুরা সময়ে এই পতাকাই ছিলো মুজিবনগর সরকারের ব্যবহৃত পতাকা।

 

কিন্তু বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর পতাকায় পরিবর্তন আনলেন। পতাকা থেকে তুলেদিলেন মানচিত্র। কিন্তু কেন? কারণ কি এটা হতে পারে যে, ১৯৪৭ সালের পোকায় কাটা পূর্ব পাকিস্তান, যার জন্য তাঁর মনস্তাপের অন্ত ছিলোনা, সীমানা রেখা তুলে দিয়ে তিনি হারানো সে অংশগুলি পাওয়ার আগ্রহী ছিলেন? স্বাধীন বাংলাদেশের সাথে কখনো পশ্চিম বাংলার অংশগুলি একিভুত হলে বর্তমানের পতাকাই বৃহত্তর বাংলার (বাংলাদেশ) পতাকা হতে সমস্যা নেই। জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর তৎকালীন ভাবনায় উল্লেখিত বিষয়গুলি কাজ করেছিলো কিনা, গবেষকেরাই ভালো বলতে পারবেন।

 

লেখক : কবি, প্রাবন্ধিক ও গবেষক।