জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দেশ মাতোয়ারা: সিইসি

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দেশ মাতোয়ারা হয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, এই নির্বাচনে বিভিন্ন দেশের আগ্রহ আছে। নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা গেলে অপপ্রচার দূর করা যাবে। অবাধ সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করতে সবাইকে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে জেলা প্রশাসক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন সিইসি। নির্বাচনকে গণতন্ত্রের বাহন এবং প্রাণ উল্লেখ করে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভোটারদের ভোট প্রদানের স্বাধীনতা যাতে ব্যাহত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং চার নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর এবং মো. আনিছুর রহমান।
সাক্ষাৎ শেষে নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতার কথা জানিয়ে দ্রুত দ্বাদশ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার কথা জানান সিইসি।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ৩০ জানুয়ারি। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বিধান অনুযায়ী এর আগে ৯০ দিনের মধ্যে ভোট হতে হবে। সেই হিসাবে গত ১ নভেম্বর নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়ে গেছে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা হবে।

নির্বাচনের সব প্রস্তুতির কথা রাষ্ট্রপতিকে জানানো হয়েছে। তিনি সব শুনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব ধরনের সহযোগিতার কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। এখন আমরা কমিশনে বসে চূড়ান্ত তালিকা ঠিক করে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করব।

রেওয়াজ অনুযায়ী, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে দেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সে অনুযায়ী এ বৈঠক হয়।

রাষ্ট্রপতির অনুমতি পেলে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন সিইসি। সিইসির ভাষণও প্রস্তুত করা হচ্ছে। এই ভাষণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।