জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিনিয়ত খাদ্যনিরাপত্তাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে: খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন,  খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে। ‘জনসংখ্যার ঊর্ধ্বগতি ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিনিয়ত আমাদের খাদ্যনিরাপত্তাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। ধান ও গমের উৎপাদন কম হলে সারা পৃথিবীতে খাদ্যসংকট দেখা দেয়। এতে চাল ও গমের দামও বেড়ে যায়। এ সংকট কাটাতে মিলেট (ক্ষুদ্র দানাদার শস্য) উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়াতে হবে।’

রবিবার (২১ মে) দুপুরে ওল্ড ইন্ডিয়া হাউজে ‘ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড ইমপর্টান্স অব মিলেট’ শীর্ষক প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ভারতীয় হাইকমিশন এ আয়োজন করে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, প্রাচীনকাল থেকে উপমহাদেশে মিলেটের উৎপাদন ও ব্যবহার ছিল। ‘মিলেট চাষে খরচ কম কিন্তু পুষ্টিমান বেশি এবং জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় সক্ষম। আমাদের দেশে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে মিলেট চাষের উপযোগী আবহাওয়া রয়েছে। এছাড়া দেশের কিছু অঞ্চলে কাউন ও চিনা আবাদ হয়, যা মিলেট গোত্রের ফসল।’

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘খরা প্রবণ এলাকা এবং যে সব জমিতে ধানের আবাদ হয় না সেখানে মিলেট চাষ করা যেতে পারে। আমাদের চরাঞ্চলের জন্যেও এটি সম্ভাবনাময় ফসল। এটি যেহেতু পুষ্টিমানসম্পন্ন তাই এর চাষাবাদ ও বাজারজাতকরণে সচেতনতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।’

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘ ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের বাংলাদেশ রিপ্রেজেনটেটিভ রবার্ট ডি সিম্পসন। কী নোট পেপার উপস্থাপন করেন শেরে বাংলা অ্যাগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. মির্জা হাসানুজ্জামান।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের ৭৫তম সাধারণ অধিবেশনে ২০২৩ সালকে ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অব মিলেট ঘোষণা করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন দেশে মিলেট নিয়ে সভা, সেমিনার ও প্রদর্শনীর আয়োজন করে আসছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।