জয়পুরহাটে হাসপাতালের বাথরুম থেকে মরদেহ উদ্ধার

জয়পুরহাটে হাসপাতালের মহিলা সার্জারি বিভাগের বাথরুম থেকে এক ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের নাম আবু বকর সিদ্দিক (৪৩)। নিহত আবু বকর সিদ্দিক ক্ষেতলাল উপজেলার দাশড়া মালীগাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই গ্রামের প্রয়াত আব্দুর রহিমের বাড়িতে বসবাস করতেন। চার মেয়ে সন্তানের বাবা ছিলেন আবু বকর সিদ্দিক।

রোববার (২৩ জুলাই) সকালে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেন হাসপাতালের কর্মীরা। পরে নিহতের স্বজনেরা মরদেহটি বাড়িতে নিয়ে যান।

নিহতের স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আবু বকর সিদ্দিকের মেয়ে মনোয়ারা খাতুন (১১) পেটের ব্যথা নিয়ে গত ১৮ জুলাই দুপুর ২টার দিকে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মনোয়ারার অ্যাপেনডিক্স ধরা পড়ে। অস্ত্রোপচারের জন্য তাকে হাসপাতালের মহিলা সার্জারি বিভাগে রাখা হয়। শনিবার আবু বকর সিদ্দিক তার মেয়েকে দেখতে হাসপাতালে আসেন। তিনি রাতে হাসপাতালেই ছিলেন। রোববার সকালে হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা ওই ওয়ার্ডের বাথরুম পরিষ্কার করতে গিয়ে একজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তারা চিৎকার দিলে সেখানে ওয়ার্ডের রোগী ও স্বজনেরা জড়ো হন। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সরদার রাশেদ মোবারক বলেন, আজ সকালে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা বাথরুম পরিষ্কার করতে গিয়ে এক ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি হার্টঅ্যাটাকে মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরিবারের সদস্যরা মরদেহটি নিয়ে গেছেন।

জয়পুরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, হাসপাতালের বাথরুমে একটি মরদেহ পাওয়ার খবর পেয়ে নিজেই যোগাযোগ করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ওই ব্যক্তি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।

নিহতের স্ত্রী বেলী খাতুন বলেন, আমার স্বামী অসুস্থ মেয়েকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিল। তিনি হাসপাতালের বাথরুমে মারা গেছেন। এ ঘটনায় আমাদের কোন অভিযোগ নেই।