ছাত্রীকে র‍্যাগিং, সংবাদ সংগ্রহকালে সাংবাদিকের ওপর চিকিৎসকদের হামলা

বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের (শেবামেক) ৫০তম ব্যাচের নীলিমা হোসেন জুঁইসহ কয়েকজন তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে র‌্যাগ দেয়।  এ ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন ৭ সাংবাদিক।

শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিংয়ের ঘটনার সংবাদ সংগ্রহকালে শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার সাংবাদিকরা হলেন, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের বরিশাল ব্যুরো প্রধান কাওছার হোসেন রানা, ক্যামেরা পার্সন রুহুল আমিন, এশিয়ান টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান ফিরোজ মোস্তফা, ক্যামেরা পার্সন আজিম, বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের নিজস্ব প্রতিবেদক মুশফিক সৌরভ, সময় টেলিভিশনের প্রতিবেদক শাকিল মাহমুদ, ক্যামেরাপার্সন সুমন হাসান।

চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ক্যামেরা পার্সন রুহুল আমিন বলেন, র‍্যাগিংয়ের শিকার ছাত্রী কলেজ অধ্যক্ষের কক্ষে অভিযোগ দিতে আসে।  খবর পেয়ে আমরা সেখানে গিয়ে ওই ছাত্রীর বক্তব্য নিচ্ছিলাম।  হঠাৎ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. আবুল বাশারের নেতৃত্বে প্রথমে ৪/৫ জন চিকিৎসক আমাদের ওপর হামলা চালান।  তারা ক্যামেরা ভাঙচুর এবং মারধর করেন।

এ ঘটনার পরপরই কলেজের সামনে অবস্থান নিয়ে ঘটনার বিচার দাবি করেছেন সাংবাদিকরা।

চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ব্যুরো প্রধান কাওছার হোসেন রানা বলেন, কলেজ প্রশাসন র‍্যাগিং যারা করেছে তাদের রক্ষা করতেই গণমাধ্যমের ওপর হামলা চালিয়েছে।  খবর পেয়ে বরিশালের সাংবাদিকরা এসেছেন।  আমাদের দাবি হামলার সুষ্ঠু তদন্ত বিচার করতে হবে।

উল্লেখ্য, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের হলে অবস্থান করা ডেন্টাল ৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাহমিদা রওশন ওরফে প্রভা, ৫০তম ব্যাচের নীলিমা হোসেন ওরফে জুঁইয়ের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটে।  তাঁরা নিজেদের ছাত্রলীগের নেত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।  তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে সেখানে সংগঠনটির কোনো কমিটি নেই।

সাংবাদিকদের উপর হামলার বিষয়ে কলেজের উপাধ্যক্ষ নাজিমুল হক বলেন, ‘সাংবাদিকদের সঙ্গে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। এটা আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি। ’

ছাত্রীদের নির্যাতনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি খুব সামান্য ঘটনা, বড় কিছু নয়। তবে আমরা বিষয়টি দেখছি। এটা সমাধানের চেষ্টা করছি। ‘