ছন্দহীন ব্যাটিংয়ে ১৪৫ রানরে টার্গেট নেদারল্যান্ডকে

বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের ব্যাটিংয়ে ছন্দহীন বাংলাদেশকেই দেখা গেছে।  শুরুতে ভালো কিছুর আভাস দিয়েও মাত্র ১৪৪ রানে থামতে হয়েছে সাকিব আল হাসানের দলকে।  নেদারল্যান্ডের ছন্দময় বোলিংয়ে নিয়মিতই উইকেট বিলিয়ে এসেছেন বোলাররা।  শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৪৪ রান তুলতে হারিয়েছে ৮ উইকেট।  বড় অঙ্কের স্কোর গড়তে পারেননি কেউই।  সর্বোচ্চ ২৭ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেছেন আফিফ হোসেন।

শুরুতে ২০ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।  টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ পাওয়ার প্লে শেষে ১ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ৪৭ রান।  প্রথম ম্যাচে সৌম্য সরকারের সঙ্গী হয়েছেন ছন্দ না থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত।

পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে এসে ছন্দপতন বাংলাদেশের।  পল ভ্যান মেকেরেনের ওই ওভারের প্রথম বলেই মিডউইকেটে বাস ডি লিডের হাতে ধরা পড়েন সৌম্য।  ১৪ বলে ১৪ রান করেই সাজঘরে ফেরেন এই টাইগার ওপেনার।  ৪৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।  উদ্বোধনী জুটির সঙ্গীকে হারিয়ে আর যেন মন টিকলো না শান্তরও।  সপ্তম ওভারের প্রথম বলেই ভ্যান বিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ২০ বলে ২৫ রান করেই ফিরে যান শান্ত।

নবম ওভারে এসে খেই হারালেন ফর্মে থাকা লিটন দাস।  ভ্যান বিকের করা ওই ওভারের চতুর্থ বলে মিড অফে টম কুপারের হাতে ধরা পড়েন লিটন।  ১১ বলে ৯ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।  ১০ম ওভারের প্রথম বলে আরেকবার ধাক্কা খায় বাংলাদেশ।  শারিজ আহমেদের প্রথম বলেই ডিপ মিডউইকেটে বাউন্ডারি লাইনে বাস ডি লিডের হাতে ধরা পড়েন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।  ৯ বল খেলে ৭ রান করেন তিনি।

৪৩ থেকে ৬৩, এই ২০ রানের ব্যবধানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ধুকতে থাকে বাংলাদেশ।  বাংলাদেশকে কিছুটা স্বস্তি দিতে হোবার্টের আকাশ জুড়ে নেমে আসে বৃষ্টির ধারা।  ৯.৩ ওভার খেলা হওয়ার পরই মাঠ ছেড়ে উঠে যেতে হয় দুই দলকে।  অবশ্য সেটি বেশি সময় স্থায়ী হয়নি।  মিনিট পাঁচেকের ভেতরেই আবার মাঠে নামে দুই দল।

এরপর ইয়াসির আলীও দ্রুত আউট হয়ে গেলে দলের হাল ধরেন আফিফ।  তাকে কিছুটা সঙ্গ দেন ১৮ বলে ১৩ রান করা সোহান ও ১২ বলে ২০ রান করা মোসাদ্দেক।  বিশ্বকাপের মূল পর্বে প্রথম জয়ের দেখা পেতে নেদারল্যান্ডকে করতে হবে ১৪৫ রান।