‘চেষ্টা করব আমাদের ছেলেরা যেন আরেকটু আত্মবিশ্বাসী হয়’

প্রায় ১৪ বছর পর জাতীয় দলের কোচ হিসেবে ফিরেছেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। এর আগে ২০০৬ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ফিল্ডিং ও সহকারী কোচ হিসেবে জাতীয় দলের সঙ্গে ছিলেন। এবার তার পদবী সিনিয়র সহকারী কোচ

আগামী মার্চ পর্যন্ত চুক্তিতে জাতীয় দলের সঙ্গী হয়েছেন সালাউদ্দিন। এর আগে তার জাতীয় দলের হেড কোচ হওয়া নিয়েও গুঞ্জন ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত ফিল সিমন্সের কোচিং স্টাফে সিনিয়র সহকারী হিসেবে প্রত্যাবর্তন হলো তার।

প্রথম মেয়াদে যখন জাতীয় দলের সঙ্গে ছিলেন সালাউদ্দিন, জাতীয় দলের সে সময়কার ভবিষ্যত তারকা যেমন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহদের সাফল্যের পথ বাতলে দিয়েছিলেন তিনি।

সে প্রজন্ম এখন শেষের প্রহর গুনছে। এবার দেশের ক্রিকেটে নতুন একটি প্রজন্ম গড়ে দেওয়ার সুযোগ সালাউদ্দিনের সামনে। দায়িত্ব নেওয়ার পর মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে সে লক্ষ্যের কথা জানিয়ে এই কোচ বলেছেন, ‘আমি যদি আরও একটা জেনারেশনকে হেল্প করতে পারি, তাহলে সেটা আমার নিজের কাছেও ভালো লাগবে। কারণ, আপনি শুধু জেনে গেলেন, কিন্তু কোনো প্রদীপ জ্বালালেন না, সেটা তো ঠিক হবে না। এই কাজটা যদি ভালোভাবে করতে পারি, কিছুটা হেল্প হলেও আমি মনে করি ভালো হবে।’

চলতি মাসের শেষদিকে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ দলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করার কথা। সে সিরিজ দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে দলের সঙ্গে কাজ শুরু করবেন সালাউদ্দিন। অবশ্য এর আগেই মিরপুরের একাডেমি মাঠে টেস্ট দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে অনুশীলনে দেখা গেছে তাকে।

জাতীয় দলের সঙ্গে দ্বিতীয় মেয়াদে কীভাবে কাজ করতে চলেছেন, সে সম্পর্কে ধারণা দিয়ে সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘যেহেতু আমি সহকারী কোচ, যেহেতু হেডকোচ আছে এখানে, তার দর্শনটা আমাকে আসলে…সে কীভাবে টিমটা চালাচ্ছে, তাকে সাহায্য করা। এর সঙ্গে খেলোয়াড়দের সাহায্য করা…যতটুকু পারি। আমার ভূমিকাটা হয়তো ভিন্ন হবে আগেরবারের তুলনায়।’

পরে যোগ করেন, ‘চেষ্টা করব আমাদের ছেলেরা যেন আরেকটু আত্মবিশ্বাসী হয়। সেই সঙ্গে আমাদের যে বিদেশি কোচরা আছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগটা যেন আরেকটু ভালো সেদিকে যায় সেই লক্ষ রাখব।’