ইতিহাস আর ঐতিহ্য ভরা চুয়াডাঙ্গা । বৃটিশ আমলের নির্মিতব্য অনেক নির্মাণ শৈলী আজও ইতিহাসের সাক্ষী হিসাবে আমাদের মাঝে দাড়িয়ে আছে। কালের বিবর্তনে আবার কিছু কিছু নির্মাণ শৈলী একে বারে হারিয়েই যেতে বসেছে।
এমন একটা সময় ছিল, যখন মানুষ তাদের প্রিয় মানুষদের কাছে চিঠি আদান প্রদান করে যোগাযোগ রক্ষা করতো। ফলে, যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হিসাবে চিঠিই যখন ব্যবহার করা হতো তখন পোস্ট বিভাগের রানার, ডাক পিওন, পোস্ট মাস্টারসহ অন্যান্য কর্মচারীরা ব্যস্ত সময় পার করতো। কিন্তু সময় বদলে গেছে। সেই সাথে হাতের লেখা চিঠি একেবারে হারিয়েই যেতে বসেছে। কতো ধরনের চিঠি যে পোস্ট অফিসে আসতো তার কোন ইয়ত্তা ছিলনা। কিন্তু, এখন আর সেই চিঠির আদান প্রদান নেই বললেই চলে। কালের বিবর্তনে চিঠির স্থান দখল করে নিয়েছে ই-মেইল।
উপমহাদেশের প্রথম ডাক সার্ভিস চালু হয় ১৭৭৪ সালে। বাংলাদেশের ডাক বিভাগের ইতিহাসও অনেক পুরাতন, ১৫০ বছরের ঐতিহ্য ধারন করে এগিয়ে চলা ডাক বিভাগ আজ নানান সমস্যায় জর্জরিত।
তবে বর্তমানে দেশের জরাজীর্ণ ডাকঘর গুলো পুনরায় নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যে অনেক নতুন ভবন নির্মাণও হয়েছে। তেমনি বাংলাদেশের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় বৃটিশ আমলের র্নিমিত সর্ব প্রথম ‘ডাকঘর’ হলো চুয়াডাঙ্গা। বর্তমানে পুরাতন ডাকঘরের জায়গায় ইতিমধ্যেই নির্মান করা হয়েছে নতুন ভবন।
স্থানীয়রা জানান, ১৮৬০ সালে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বড় বাজার পাড়ায় নির্মান করা হয় বাংলাদেশের সর্ব প্রথম এই ডাকঘর। এ সময় ভারতের সাথে চুয়াডাঙ্গার রেলপথের যোগাযোগ সহজ থাকায় যৎ সামান্য স্টাফ নিয়ে এই ডাকঘরের কার্যক্রম শুরু করে। তবে এক পর্যায়ে নানা প্রতিকূলতায় এক সময় বন্ধ হয়ে যায় ডাকঘরের কার্যক্রম। দেশ স্বাধীন এর পর ততকালীন মহাকমা (কুষ্টিয়া) ডাকঘরের আওতায় পুনরায় চালু করা হয় এর কার্যক্রম।
এ দিকে পুরাতন ডাকঘর ভবনটি ভেঙে ৬ বিঘা জমির ওপর নির্মিত হয়েছে নতুন ডাকঘর ভবন। এতে বৃটিশ আমলের পুরাতন ডাকঘর ভবনটি পুনরায় সংস্কার না করায় স্থানীয়দের মাঝে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বৃটিশ আমলের নির্মিত এই পুরাতন ভবনটি চুয়াডাঙ্গার সৃতি হিসাবে সংষ্কার করার দরকার ছিলো। চুয়াডাঙ্গায় আধুনিক এই ডাকঘর ভবনটি নির্মাণ করতে মোট ব্যায় হয়েছে ১২ কোটি টাকা।