মিল মালিক, রিফাইনারি প্রতিষ্ঠান ও পাইকারদের কাছে মজুত চিনি বাজারে ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২৪ অক্টোবর) চিনিসহ নিত্যপণ্যের বিষয়ে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এ তথ্য জানান।
এতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, প্রতিযোগিতা কমিশন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সরকারি কয়েকটি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। চিনির বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে এ নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে মূখ্য সচিব বলেন, এ মুহূর্তে মিল, রিফাইনারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ১ লাখ মেট্রিক টন পরিশোধিত চিনি মজুত আছে। সেগুলো বাজারে সরবরাহ করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আশা করছি, রাত থেকেই চিনির বাজার স্থিতিশীল হবে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, চাহিদার চেয়ে সরবরাহ কমের অজুহাতে হঠাৎ চিনির বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। অনেক এলাকায় চিনি গায়েব হয়ে গেছে।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, চলতি বছরে চিনি সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। এ ছাড়া খুব শিগগিরই আরও এক লাখ টন চিনি আমদানি করা হচ্ছে। একটু তদারকি করলে চিনির বাজার স্বাভাবিক হবে বলে আমরা আশাবাদী।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র জি এম আবুল কালাম আজাদ রোববার বলেন, ২০২১ সালে ১৭ লাখ টন চিনি আমদানি করা হয়েছে। চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে প্রায় সাড়ে ১৬ লাখ টন চিনি আমদানি করা হয়েছে। পাইপলাইনে আছে আরও এক লাখ টন। যা খুব শিগগিরই দেশে আসবে। সব মিলিয়ে দেশে চিনি সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই।