রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানায় হায়েনার কামড়ে সায়ীদ নামে আড়াই বছরের এক শিশুর হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার গাজীপুর থেকে পরিবারের সঙ্গে চিড়িয়াখানায় বেড়াতে আসে শিশু সায়ীদ। খেলতে খেলতে হায়েনার খাঁচায় হাত ঢুকিয়ে দিলে হাতে কামড় বসায় হায়েনা। এ সময় পরিবারের লোকজন শিশুর হাত ধরে টানাটানি করে বাঁচানোর চেষ্টা করলে কনুই থেকে হাত আলাদা হয়ে যায় তার। শিশুটি বর্তমানে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।
এদিকে জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাবা-মায়ের সঙ্গে বাচ্চাটি চিড়িয়াখানায় বেড়াতে আসে। বাচ্চাটির বয়স দুই থেকে আড়াই বছর হবে। বাচ্চাটার মা-বাবাই নিরাপত্তা বেষ্টনী পার হয়ে শিশুটিকে নিয়ে হায়েনার খাঁচার কাছে চলে আসে। যদিও খাঁচায় নেট দেয়া ছিল। কিন্তু ছোট বাচ্চা নেটের ভেতরে হাত ঢুকিয়ে দেয়। তখনই বাচ্চাটার হাত কামড়ে কবজি থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে হায়েনা।
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই নিরাপত্তাকর্মী বাচ্চাটার হাত ধরে আমাদের ভেটেনারি হাসপাতালে নিয়ে আসেন। দ্রুততার সঙ্গে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শিশুটির হাতে মেডিসিন দেন চিকিৎসক। এরপর পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে আমাদের তত্ত্বাবধানে শিশুটির চিকিৎসা চলছে।’
এ ঘটনায় এরইমধ্যে মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর থেকে আলাদা আলাদা ৩টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। চিড়িয়াখানার কারও কোনো গাফিলতি ছিল কি না খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।