চালের কৃত্রিম সংকটকারী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিন

বাজারে নিত্যপণ্য তথা চালের কৃত্রিম সংকটে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। শুধুই নিম্নবিত্তের মানুষ নয়, মধ্যবিত্তরাও দিশেহারা। আর এর প্রমাণ টিসিবির পণ্য বিক্রির ট্রাকের পেছনে দীর্ঘ লাইন। যদিও গত ৩০ জানুয়ারির পর পাইকারিতে কিছুটা কমতে শুরু করেছে চালের দাম।

গত ১৪ জানুয়ারি সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স হলে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোন সিন্ডিকেট থাকতে পারবে না। মজুতদারদের শক্ত হাতে দমন করা হবে। তবে স্বচ্ছভাবে যারা ব্যবসা করবে, তাদের সহযোগিতা করা হবে। আর যারা কৃত্রিমভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করবে—তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করতে হয়েছে, উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চালের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধিতে। বলেছেন, সবচেয়ে অবাক লাগে, কথা নাই বার্তা নাই হঠাৎ করে চালের দাম বেড়ে গেল, জিনিসের দাম বেড়ে গেল! এটা মেনে নেয়া যাবে না।

এই হুঁশিয়ারির পর চালের বাজারে সরবরাহ বাড়ছে। সরবরাহ বাড়ায় পাইকারিতে কমতে শুরু করেছে চালের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কয়েক ক্যাটাগরির চালের দাম বস্তায় (৫০ কেজি) ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের পর হঠাৎ করে চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে। অথচ সাধারণত জানুয়ারি মাসে কৃষকের ঘরে ঘরে নতুন আমন ধান মজুদ থাকে। পরবর্তীতে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের অভিযানের প্রেক্ষিতে উত্তরাঞ্চলীয় চালের মোকামগুলোতে চালের সরবরাহ বাড়ে। এর প্রভাবে দাম কমতে শুরু করে।

আমরা মনে করি, প্রশাসন যদি সক্রিয় থাকে, নিয়মিত নজরদারি করে, তাহলে চালের বাজার অস্বাভাবিক হতে পারে না।