চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ১ হাজার ৮৮৭ কোটি ২৮ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ বুধবার (২১ জুন) দুপুরে কর্পোরেশনের আন্দরকিল্লার কেবি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এই বাজেট ঘোষণা দেন তিনি। এবারের বাজেট নিজস্ব উৎসে সর্বোচ্চ ৯৫০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা আয় ধরা হয়েছে। গত ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের বাজেট ছিল অনুদান নির্ভর।
নতুন অর্থবছরের বাজেটের পাশাপাশি ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১১৭৬ কোটি ২৮ লাখ টাকার সংশোধিত বাজেট উপস্থাপন করা হয়। ওই অর্থবছরে মোট ২১৬১ কোটি ২৭ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছিল। বাজেট বাস্তবায়ন হয়েছে ৫৪ দশমিক ৪২ শতাংশ।
প্রস্তাবিত বাজেটে তিন ধরনের কর বাবদ মোট আয় ধরা হয়েছে ৬৪০ কোটি ৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে বকেয়া কর ও অভিকর খাতে সর্বোচ্চ ২২২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা আয় ধরা হয়েছে। হাল কর ও অভিকর খাতে ২২৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং অন্যান্য কর বাবদ ১৯৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আয় ধরা হয়েছে।
গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) তিন ধরনের করে মোট আয় ধরা হয়েছিল ৫৮৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট অনুসারে ওই তিন ধরনের আয়কর বাবদ চসিকের আয় হয়েছে ৩৩১ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
নতুন অর্থবছরের বাজেটে উন্নয়ন অনুদান খাতে ৮৯৪ কোটি টাকা আয় দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য উৎস থেকে ৩৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা আয় ধরা হয়।
ঘোষিত বাজেটে নগরের উন্নয়ন খাতে সর্বোচ্চ ৯৪২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। গত অর্থবছরের (২০২২-২৩) বাজেটে উন্নয়ন খাতে ১২৫৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হলেও খরচ হয়েছে ৬৪৩ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এবারের বাজেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যয় ধরা হয়েছে বেতন, ভাতা ও পারিশ্রমিক খাতে ৩১০ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
বাজেট উপস্থাপনকালে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর ঠিকাদার ও অন্যান্য বকেয়া থোক বরাদ্দ খাতে ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা সহ প্রায় ২০০ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
৭০ কোটি ২৭ লাখ টাকা আয়কর ও ৮৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা মূল্য সংযোজন কর সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। চসিকের ২ লাখ ৬ হাজার ১৪৯টি হোল্ডিং রয়েছে। বহদ্দারহাট বারইপাড়া খালের ৪ হাজার ৫০০ ফুট প্রতিরোধ দেয়াল নির্মাণ, ২৫০০ ফুট ড্রেন নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। সরকারের ভিশন হচ্ছে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ। এই রূপকল্পের ভিত্তি হচ্ছে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সরকার। সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে বেশিরভাগ কার্যক্রম এখন অনলাইন ভিত্তিক করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে করপোরেশনের প্রশাসনিক সব কাজ ইলেকট্রনিক সিস্টেমের আওতায় আনা হবে।
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশনে বাজেট বিবরণী উপস্থাপন করেন অর্থ ও সংস্থাপন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. ইসমাইল। এ সময় সিটি করপোরেশনের সচিব খালেদ মাহমুদ, ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির ও ওয়ার্ড কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।