চমেক হাসপাতালে ডায়ালাইসিস সেবা আজ থেকে আবার বন্ধ হচ্ছে

বকেয়া বিল পরিশোধে অসহযোগিতা

বকেয়া পাওনা (বিল) পরিশোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অহেতুক বিলম্ব ও অসহযোগিতার কারনে চমেক হাসপাতালের কিডনি ডায়ালাইসিস সেবা আজ থেকে আবার বন্ধ হতে যাচ্ছে। ডায়ালাইসিস পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান স্যান্ডর এক নোটিশে এই তথ্য জানিয়েছে। হাসপাতাল পরিচালক জানালেন, বিষয়টি উপরের মহলকে অবহিত করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিডনি রোগীদের জন্য ডায়ালাইসিস সেন্টারটি পরিচালনা করে আসছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্যান্ডর ডায়ালাইসিস সার্ভিস বাংলাদেশ (প্রাঃ) লিমিটেড।

বুধবার (২১ জুন) তাদের পক্ষ থেকে সেবা বন্ধের একটি নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘আজ বৃহষ্পতিবার থেকে ডায়ালাইসিস সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (অর্থ) কর্তৃক সার্ভিস পেমেন্ট পরিশোধে বারবার অনাকাঙ্খিত বিলম্ব এবং অসহযোগিতার কারনে আমরা হঠাৎ করে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।’

সংস্থার ব্যবস্থাপক নোটিশে আরো জানান, ‘ডায়ালাইসিসের মতো জরুরি সেবা বন্ধ করার কোন উদ্দেশ্য আমাদের নাই। কিন্ত এমন বিরূপ পরিস্থিতিতে সেবা চালু রাখা কোন অবস্থাতেই সম্ভব নয়। চলমান অবস্থার স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সকল রোগীকে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানানো হয়।’ স্যান্ডর ওই নোটিশে সেবা বন্ধ অথবা চালুর ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (অর্থ) ফরিদা ইয়াসমিনের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। নোটিশে তারা ফরিদা ইয়াসমিনের ফোন নম্বরও উল্লেখ করে দেয়। এই ধরনের নিরবচ্ছিন্নভাবে চিকিৎসা সেবা চালাতে তিনি আন্তরিক নন বলেও চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে।
স্যান্ডরের সেবা বন্ধের ব্যাপারে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান জানান, উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, হাসপাতালের কিডনি ডায়ালাইসিস সেবা পর্যাপ্ত নয় বলেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি সেবা কেন্দ্র চালু করেছিল। সেটি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে। এর মাধ্যমে গরীব রোগীরা অল্প খরচে সেবা পেয়ে আসছিল। এখন সেটা বন্ধ হয়ে গেলে তারা বিপাকে পড়বেন।

উল্লেখ্য, এর আগেও গত জানুয়ারি মাসে কাঁচামালের সংকটে এই ডায়ালাইসিস কেন্দ্রের সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে কিডনি রোগীরা প্রায় এক সপ্তাহ আন্দোলন-সংগ্রাম করে।