চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার জট: রেকর্ড ভঙ্গ

সব ইয়ার্ডে ঠাঁই নেই, ঠাঁই নেই অবস্থা

রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশের অর্থনীতির প্রাণ প্রবাহ চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার জট অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। সব ইয়ার্ডে ঠাঁই নেই, ঠাঁই নেই অবস্থা।

স্বাভাবিক সময়ে যেখানে কন্টেইনার থাকে ৩৫-৪০ হাজার টিইইউএস। সেখানে বর্তমানে আছে ৪৪ হাজার টিইইউএস কন্টেইনার। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল (বুধবার) বন্দর পরিদর্শনে আসেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল। এ সময় তিনি ইয়ার্ডগুলোতে কন্টেইনারের সার্বিক পরিস্থিতি ও অপারেশনাল কার্যক্রম ঘুরে দেখেন। পরে বন্দরের বিভিন্ন বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে জরুরী বৈঠক করেন।

বর্তমানে আইসিডি ইয়ার্ডে স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ গুণ বেশি কন্টেইনার থাকায় বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে বন্দর কর্মকর্তাকে বিদেশ যাত্রা না করার ইঙ্গিত দেন সচিব।

চট্টগ্রাম বন্দরে চলমান মেগা প্রকল্প বে-টার্মিনাল ও মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের কাজ এগিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বন্দরের কন্টেইনার জট ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের নব নিযুক্ত চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান।

এদিকে চলমান পরিস্থিতিতে বন্দরে কন্টেইনার জটের জটিলতা আগামী ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে কাটিয়ে চার জোড়া রেলের মাধ্যমে কন্টেইনার পরিবহন হবে বলে জানান নতুন বন্দর চেয়ারম্যান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সাম্প্রতিক সহিংসতা এবং সরকার পতনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য উঠানামা ও কন্টেইনার ডেলিভারী চরমভাবে ব্যাহত হয়। ফলে বন্দরের অভ্যন্তরে তৈরি হয় কন্টেইনার জট।